বাংলার হয়ে ফুটবল মাঠে খেলবে আসানসোলের পাঁচ কন্যা

পশ্চিম বর্ধমান: মনিপুরে অনুষ্ঠেয় মহিলাদের জাতীয় সাব-জুনিয়র ফুটবল প্রতিযোগিতায় বাংলা দলে খেলার ডাক পেল আসানসোলের সালানপুর ব্লকের রূপনারায়নপুর এলাকার পাঁচ স্কুল ছাত্রী।সুযোগ পাওয়া রুপালি বাউরি,পূজা মুর্মু,সুপ্রিয়া হাঁসদা,অদ্রিজা সরখেল ও মোনালিসা মারান্ডিরা রয়্যাল বেঙ্গল চ্যালেঞ্জআর বা রূপনারায়ানপুর মানবহাল এমআরবিসি ক্লাবের সদস্য।সালানপুরের বিডিও তপন সরকার বলেন, 'এটা আমাদের ব্লকের গর্ব।'ছাত্রীরা রাজ্য দলে সুযোগ পাওয়ায় খুব খুশি তাদের কোচ সঞ্জীব বাউড়ি।তিনি বলেন,হিন্দুস্তান ক্যাবলস মাঠে এদের নিয়ে নিয়মিত কোচিং করি।কিন্তু কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাঠের ঠিকমতো রক্ষনাবেক্ষন হচ্ছে না।এর আগে আমরা এদের নিয়ে মহকুমা,জেলা পর্যায়ে খেলে জাতীয় চ্যাম্পিয়ান হয়েছি।সুব্রত কাপেও ওরা খেলেছে।তবে এবারের আনন্দটাই আলাদা।বেলঘরিয়া তে টীম নির্বাচন হয়েছে।সেখানেই মেয়েরা ট্রায়াল দিয়েছে।ওরা সুযোগ পাওয়ায় আমি খুব খুশি।বাংলার হয়ে যারা খেলবে তারা পাঁচজনেই রূপনারায়নপুরের।'তবে শুধু অংশ পাওয়ায় নয়,বাংলা দলের অধিনায়কও রূপনারায়নপুরের রুপালি।এছাড়া গোলকিপার অদ্রিজা এখানকারই।ফলে স্বভাবতই আনন্দ আরো বেশি।অনূর্ধ্ব ১৪ মহিলাদের জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় দেশের ১৬ টি রাজ্য অংশ নিচ্ছে।প্রাথমিক পর্যায়ে ৪ টি গ্রুপে দল রাখা হয়েছে।এ গ্রুপে রয়েছে বাংলা দল।২৭ অক্টোবর মিজোরামের সঙ্গে বাংলার প্রথম ম্যাচ।২৯ ও ৩১ তারিক এ বাংলা খেলবে মনিপুর ও পদুচেরির সঙ্গে।নকআউট পর্যায় নিশ্চিত করতে অন্তত দুটো ম্যাচ জিততে হবে বাংলা কে।অদ্রিজার মা সোমা সরখেল বলেন,'আমরা মেয়ে আছড়া হাইস্কুলে পড়ে।ভালো লাগছে এই ভেবে যে গত কয়েক বছরের পরিশ্রমএর ফসল পেল মেয়ে।জাতীয় প্রতিযোগিতায় রাজ্য দলের হয়ে গোলকিপিং করার সুযোগ পেল ও।ওদের সাথে হলদিয়া,বজবজ এর এলাকার মতো অনেকে সুযোগ পেলেও একসঙ্গে পাঁচজন কোথাও সুযোগ পাইনি।আশা করি,ওরা ভালো ফল করবে।'
Source-eisamay

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1