ধর্ম নিরপেক্ষতায় বারবার গর্জেছেন মমতা ,বাংলায় মুক্তি পদ্মাবতী..

পদ্মাবতী এখুন খবরের এক বড় অংশ, ধীরে ধীরে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই চলচিত্রের উপর বেন্ড করেছেন, কিন্তু বাঙ্গালার মুখ্যমন্ত্রী একদম তার উল্টো করতে চলেছেন, কারণটা রাজনৈতিক দিক থেকে দেখলে বিজেপির বিরুদ্ধে যাবার জন্য হতে পারে, পুরো রাজনৈতিক মহল গরম এই সময়ে পদ্মাবতী সিনেমায় রানি পদ্মিনীর সঙ্গে আলাউদ্দিন খিলজির সম্পর্ক নিয়ে এমন ঘটনা দেখানো হয়েছে যার সঙ্গে ইতিহাসের মিল নেই। অর্থাত ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ করেছে কারনি সেনা। যা নিয়ে প্রথম থেকেই তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেই ঘটনাই এখন রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। যা নিয়ে ফের কেন্দ্র বনাম বিরোধী ঝগড়া বেঁধে গিয়েছে।কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, সঞ্জয় লীলা বনশালী ও তাঁর পদ্মাবতী দলকে তিনি দরাজ হস্তে স্বাগত জানাচ্ছেন। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতেও তিনি তৈরি।মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত, এমনকী পাঞ্জাব সরকার পদ্মাবতীর মুক্তি নিয়ে বেঁকে বসেছে। একই অবস্থা মহারাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে। এই অবস্থায় বিজেপি বনাম অন্য দলগুলির বিরোধ শুরু হয়েছে।কেন্দ্র বিরোধিতায় সুর সপ্তমেই চড়ুয়ে রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও ইস্যুই বাদ দিচ্ছেন না। বলিউড সিনেমা পদ্মাবতী নিয়ে সারা দেশে হইচই প্রসঙ্গে ফের বিজেপি বিরোধিতায় স্টেপ আউট করে ছক্কা হাঁকালেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি জানিয়ে দিলেন, দেশের অন্য রাজ্যে পদ্মাবতী মুক্তি বাধা দেওয়া হলে বাংলায় তা রিলিজ করা হোক।সারা দেশে অন্য রাজ্যগুলিতে পদ্মাবতী রিলিজ করতে না পারলে বাংলায় তা রিলিজ করা হোক। তৃণমূল সরকার পদ্মাবতীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করবে খুশি মনে ও গর্বের সঙ্গে। জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।


Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1