‘হ্যাঁ আমি চা বিক্রি করতাম, কিন্তু দেশ বিক্রি করিনি..


সোমবার সকালে কচ্ছের ‘আশাপুরা মাতা’ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রচারাভিযান শুরু করেন। তার আগে আগামী দু’সপ্তাহে তিনি ৩০-টিরও বেশি নির্বাচনী সভা করবেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এ দিন ভুজ ছাড়াও আরও দু’টি জায়গায় মোদীর নির্বাচনী সভা হয়েছে। তার একটি সৌরাষ্ট্রে এবং অন্যটি দক্ষিণ গুজরাতে।প্রথম দফার ভোটের বাকি আর মাত্র ১২ দিন। নির্বাচনী প্রচারে এত দিন শাসক-বিরোধী— দু’পক্ষের বিষয়ই ছিল গুজরাত অস্মিতা। কিন্তু, প্রথম দিন ভোট প্রচারের ময়দানে নেমেই নরেন্দ্র মোদী সেখানে জাতীয়তাবাদের দামামাটা বাজিয়ে দিলেন। গুজরাতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তুললেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রসঙ্গ। পাশাপাশি একের পর এক বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে চাইলেন কংগ্রেসকে।

এই প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গুজরাতে ভোট প্রচারে মোদী। এর আগের গুজরাতের একাধিক নির্বাচনে তিনি প্রচার করেছেন, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে। ২০০১ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মোদী। সে বছর কেশুভাই পটেলকে সরিয়ে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। ছ’মাসের মধ্যে মোদীকে মণিনগর থেকে উপনির্বাচনে জিতিয়ে আনা হয়েছিল। তার পর থেকে ২০১৪ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে অবধি এই গুজরাতেরই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।এ দিন মোদীর ভুজের জনসভায় বিপুল জনসমাগম হয়। সেখানে তিনি মুম্বই এবং উরি হামলা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘২৬/১১-য় এবং উরিতে ভারতের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। আপনারা দেখেছেন দু’টি ক্ষেত্রে ভারত কী ভাবে তার জবাব দিয়েছে। আর সেটাই বুঝিয়ে দেয়, ওদের সরকার এবং আমাদের সরকারের পার্থক্য।’’ উচ্চারণ না করেও মোদী মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা।এর আগে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী গুজরাতে একাধিক বার প্রচারে এসেছেন। নানা বিষয়ে মোদীকে তিনি আক্রমণ করেছেন। এ দিন মোদী নিজের ইনিংস-এর শুরুতেই সেই রাহুলকে জবাব দিতে চেয়েছেন। গুজরাত নির্বাচনের আগে রাহুলকে তাঁর দল যে সভাপতি পদে নির্বাচিত করছে, তা নিয়েও মোদী কটাক্ষ করেছেন। তাঁর মতে, এ বারের লড়াই ‘উন্নয়ন বনাম পরিবার তন্ত্রের’ লড়াই। ‘চা-ওয়ালা’ কটাক্ষের জবাব এদিন দিয়েছেন মোদী। সৌরাষ্ট্রের এক সভায় তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি চা বিক্রি করতাম। কিন্তু, দেশকে বিক্রি করিনি।’’ এর পরেই মোদীর বার্তা, ‘‘এ ভাবে আমার দারিদ্র নিয়ে কটাক্ষ করবেন না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আসলে কংগ্রেস আমাকে অপছন্দ করে। কী ভাবে একটা দল এতটা নীচে নামতে পারে? হ্যাঁ, দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে আমার মতো এক জন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এ জন্য কিছু গোপন করার নেই।’’


Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1