মুখ্যমন্ত্রী কি শুধুমাত্র নিজের পরিবারের স্বার্থরক্ষার্থেই বিশ্ব বাংলা লোগো তৈরি করেছেন ?

মুখ্যমন্ত্রী কি শুধুমাত্র নিজের পরিবারের স্বার্থরক্ষার্থেই বিশ্ব বাংলা লোগো তৈরি করেছেন ?? তিনি কি পরিবার ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না? বিশ্ব বাংলার মানুষ বলতে কি শুধু তার পরিবার কেই বোঝানো হয়?? মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভায় বসে বিশ্ব বাংলা লোগো ইস্যুতে এই প্রশ্ন তুলে ধরলেন বিজেপির মহিলা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।বিজেপির নেতা মুকুল রায় রানি রাসমণি রোডের জনসভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন যে, "বিশ্ব বাংলা লোগো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব মালিকানা হয়ে উঠেছে, সেটা আর রাজ্য সরকারের নেই।" এর পরিণতিতে সাংবাদিকদের ডেকে, এক বৈঠক আয়োজন করে মুকুল রায়কে মিথ্যা প্রমান করা হয়। এবং মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেন অভিষেক।অবশ্য এর উপযুক্ত পাল্টা জবাবও দিয়েছেন মুকুল রায়।

টানা ১৯ দিন ধরে চলে আসছে এই বিতর্ক। মঙ্গলবার কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে জানিয়েছেন (প্রায় হুমকিই বলা চলে) যে, "যদি মুকুল রায়ের এই অভিযোগ প্রমান হয়ে যায় তাহলে, তিনি আর রাজনীতির জগতে পা রাখবেন না। কিন্তু যদি এই অভিযোগ প্রমান না হয়, তাহলে মুকুল রায় কে বাংলা ছাড়তে হবে।এতদিন নিশ্চুপ থাকা মুখ্যমন্ত্রী শেষে মুখ খুললেন। তিনি বললেন, " আমার তৈরি বিশ্ব বাংলা লোগো। আমি এই লোগো তৈরি করেছিলাম ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এবং ১৪ সালে সরকারি ঘোষণাপত্র দ্বারা জারি হয় যে, যতদিন চাইবে ততদিন এই লোগো সরকার ব্যবহার করতে পারবে।" তিনি আরো বলেন যে, "এই লোগো যদি সরকার ব্যবহার করতে না চান, তাহলে তা আবার তাঁর নিজের কাছেই ফিরে আসবে। স্বপ্নের কোনো মূল্যে হয় না। আর এই লোগো হচ্ছে আমার স্বপ্ন।" আসলে এটা বলে তিনি এটাই প্রমান করতে চাইলেন যে বিশ্ব বাংলার আর্থিক দিক থেকে তিনি কোনো ভাবে সাহায্য লাভ করেন না।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির নেত্রী লকেট মন্তব করেন যে, তাহলে তো মুকুল রায় এর কথাটাই ঠিক। মুখ্যমন্ত্রী তো নিজেই স্বীকার করলেন। তাঁর কথার মনে তো এটাই দাঁড়াচ্ছে যে তিনি সরকার কে সামনে রেখে পারিবারিক ব্যবসা করতে চাইছেন। লকেট আরো বলেন যে, উনি বললেন যে আমার লোগো। আমার না বলে তো উনি আমাদের বা সকল বাংলার মানুষের কথা বলতে পারতেন। তাঁর একথা থেকেও বোঝা যায় যে, তিনি বিশ্ব বাংলার নাম নিয়ে শুধু নিজের পরিবার গোছাতেই ব্যস্ত। লকেট চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তাঁদের আন্দোলন ধারাবাহিক ভাবেই চলবে।

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1