চা বেচেছি দেশকে নয়, কেন এই পাল্টা জবাব মোদীর রাহুলকে দেখুন...


‘চা-ওয়ালা’ কটাক্ষের জবাব এদিন দিয়েছেন মোদী। সৌরাষ্ট্রের এক সভায় তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি চা বিক্রি করতাম। কিন্তু, দেশকে বিক্রি করিনি।’’ এর পরেই মোদীর বার্তা, ‘‘এ ভাবে আমার দারিদ্র নিয়ে কটাক্ষ করবেন না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আসলে কংগ্রেস আমাকে অপছন্দ করে। কী ভাবে একটা দল এতটা নীচে নামতে পারে? হ্যাঁ, দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে আমার মতো এক জন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এ জন্য কিছু গোপন করার নেই।’’

এ দিন মোদী এই বার্তারই জবাব দিতে চেয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রাহুলের দেখা করা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। ভুজের জনসভায় মোদী গুজরাতি ভাষাতেই ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই ভাষণই ইংরেজি তর্জমা করে তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করা হচ্ছিল। সেখানে মোদী বলেন, ‘‘পাকিস্তানি আদালত এক জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছে, আর কংগ্রেস তা উদ্‌যাপন করছে। অবাক হয়েছিলাম, কেন! এই কংগ্রেসেই তো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে আমাদের সেনার উপর বিশ্বাস রাখতে চায়নি। বরং তার থেকে বেশি বিশ্বাস করতে চেয়েছিল চিনের রাষ্ট্রদূতের উপর।’’ রাহুলের ‘হাগপ্লোম্যাসি’ জবাবে মোদী বলেন, ‘‘ডোকলামে যখন ৭০ দিন চিনা সেনার সঙ্গে সঙ্গে চোখে চোখ রেখে টক্কর দিচ্ছিল ভারতীয় সেনা, তখন চিনের রাষ্ট্রদূতকে আলিঙ্গন করেছিলেন কেন!’’

এ দিন মোদীর ভুজের জনসভায় বিপুল জনসমাগম হয়। সেখানে তিনি মুম্বই এবং উরি হামলা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘২৬/১১-য় এবং উরিতে ভারতের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। আপনারা দেখেছেন দু’টি ক্ষেত্রে ভারত কী ভাবে তার জবাব দিয়েছে। আর সেটাই বুঝিয়ে দেয়, ওদের সরকার এবং আমাদের সরকারের পার্থক্য।’’ উচ্চারণ না করেও মোদী মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা।আসলে, মোদী জবাবটা দিতে চেয়েছেন রাহুল গাঁধীকে। কারণটা অবশ্যই মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদ। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি হাফিজকে গৃহবন্দি করেছিল পাক সরকার। গত বুধবার তাকে মুক্তি দিয়েছে লাহৌর হাইকোর্টের বিচারবিভাগীয় বোর্ড। শুক্রবার লাহৌরের বাড়ি থেকে বাইরে পা দিয়েছেন এই জঙ্গি নেতা। তার পরেই রাহুল গাঁধী টুইট করে ব্যঙ্গ করেন, ‘‘নরেন্দ্র ভাই বাত নেহি বনি। টেরর মাস্টারমাইন্ড এখন ফ্রি। ‘হাগপ্লোম্যাসি’ ফেল করল। আরও আলিঙ্গনের প্রয়োজন রয়েছে।’’

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1