ইন্দিরা গান্ধীর নীতিতে করা জবাব PM মোদীর, দেখুন এই রাজনৈতিক মহলের গরম প্রতিবেদনটি..

কয়েকমাস আগে রাহুল গুজরাতে যাওয়ার পর থেকেই যেন রণডঙ্কা বেজে গিয়েছে মোদীর নিজের রাজ্যে। গতকালও একইদিনে পরপর চারটি প্রচারসভা করে গিয়েছেন মোদী। রাহুলের মোকাবিলা করতে গিয়ে এখন প্রধানমন্ত্রীর মুখে শুধুই গুজরাতি ভাষা, সেই সঙ্গে বারবার উঠে আসছে তাঁর ‘ভূমিপুত্র’ প্রসঙ্গও।

ছেড়ে দেওয়ার বান্দা নন কেউই, গুজরাতের ভোটের প্রচার দেখে তা টের পাওয়া যাচ্ছে বিলক্ষণ। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ হানতে রীতিমতো অস্ত্র শানিয়ে মাঠে নেমেছে দু’পক্ষই। গতকাল প্রধানমন্ত্রী কে জিএসটি খোঁচায় বিঁধেছিলেন  রাহুল গান্ধী। ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স’কে ফের ‘গব্বর সিংহ ট্যাক্স’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল। সেই কটাক্ষের জবাবে বুধবার মোরবির জনসভা থেকে কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করে মোদী বলেন, ‘‘দেশকে যাঁরা লুঠ করেছেন, ডাকাতির কথা তো তাঁদের মনেই আসবে।’’ তবে এখানেই শেষ নয়। কংগ্রেস যে কোনওদিনই মোরবির মানুষদের কথা ভাবেনি, ইন্দিরা গাঁধীর প্রসঙ্গ টেনে চোখে আঙুল দিয়ে সেটাই দেখিয়ে দিতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েক দশক আগে একটি সাময়িকপত্রে প্রকাশিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর একটি ছবির কথা মনে করিয়ে দিলেন। সেখানে দেখা গিয়েছিল, মোরবির রাস্তার কটূ গন্ধ আড়াল করতে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে ঢুকছেন ইন্দিরা।

 কিন্তু মোদী সকলকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন, এই রাস্তা তাঁদের নেতাকর্মীদের কাছে পবিত্র রাস্তা। আর ওই গন্ধ মানবতার গন্ধ। সুখের দিন হোক বা দুঃখের, মোরবির মানুষের পাশে সবসময় থাকবেন বলেও সকলকে আশ্বস্ত করেছেন মোদী।৯ ডিসেম্বর প্রথম দফার ভোট হবে এই মোরবিতেই।হ্যান্ড পাম্প বিলির কর্মসূচিকেও যে ভাবে কংগ্রেস তাঁদের সাফল্য বলে চালাতে চাইছে এবং তা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে সেই ঘটনাও অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে এ দিন মন্তব্য করেন মোদী। অন্যদিকে, বিজেপির ঝুলিতে নর্মদা প্রকল্প, সৌনি-রমতো বড় প্রকল্পগুলি রয়েছে বলে আবারও সকলকে মনে করিয়ে দেন তিনি।গুজরাতের ১৮২টি বিধানসভা আসনের জন্য ভোট হবে দু’দফায়, ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর। ফল বেরবে ১৮ ডিসেম্বর।এরই পাশাপাশি রয়েছে কংগ্রেসকে একের পর এক আক্রমণও। আজও ইন্দিরার প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে ‘সামন্ত্রতান্ত্রিক মনোভাবে’ আচ্ছন্ন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বারবার কংগ্রেসের রাজনীতিকে পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেন মোদী।

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1