চীন ও পাকিস্তানের চাপ, ভারত ও আমেরিকা সত্যিকারের বন্ধু প্রমান করলেন PM মোদী..


ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ এত সুদৃশ্য কোনও দিন ছিল না। হায়দরাবাদে পা রেখেই মন্তব্য ইভাঙ্কা ট্রাম্পের। বিশ্ব শিল্পোদ্যোগী সম্মেলনে (জিইএস-২০১৭) যোগ দিতে ভারতে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে তথা অন্যতম প্রধান পরামর্শদাতা ইভাঙ্কা। এর আগেও ভারত সফরে এসেছেন তিনি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেয়ে বা অন্যতম প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর। ৩৫০ জনের মার্কিন প্রতিনিধি দল নিয়ে জিইএস-২০১৭-তে যোগ দিচ্ছেন ইভাঙ্কা। সম্মেলন শুরু আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেয়ে। উদ্বোধনী ভাষণে জানালেন, হায়দরাবাদের মতো একটা ঐতিহাসিক শহরকে তথ্যপ্রযুক্তির মহানগরীতে পরিণত হতে দেখে তিনি অভিভূত।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে ইভাঙ্কার বৈঠক নির্ধারিতই ছিল। জিইএস-২০১৭-তে যোগ দেওয়ার আগে এ দিন সেই বৈঠক হয়।

 ভারত-মার্কিন বাণিজ্যিক আদান-প্রদান এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়েই মোদীর সঙ্গে ইভাঙ্কার আলোচনা হয় বলে খবর। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের মধ্যে ইভাঙ্কাই সবচেয়ে প্রভাবশালী। তাই হোয়াইট হাউজে ইভাঙ্কা ট্রাম্প একটি অত্যন্ত ক্ষমতাশালী নাম। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়েও ইভাঙ্কার মতামত তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রশাসনের কাছে।এ বারের বিশ্ব শিল্পোদ্যোগী সম্মেলনে ১৫০০ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। তাঁদের অন্তত অর্ধেকই মহিলা। জিইএস-২০১৭-র থিম হল ‘উইমেন ফার্স্ট, প্রসপারিটি ফর অল’। অর্থাৎ ‘মহিলাদের অগ্রাধিকার, সকলের জন্য সমৃদ্ধি’। সেই কারণেই সম্মেলনে আমন্ত্রিত প্রতিনিধিদের অন্তত অর্ধেকই এ বার মহিলা।প্রধানমন্ত্রী মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিনিয়র অ্যাডভাইসর ইভাঙ্কা এবং তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও একসঙ্গে উদ্বোধন করেন জিইএস-২০১৭-র। ইভাঙ্কা নিজের ভাষণে বলেন, ‘‘ভারতের মানুষ আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’’ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতের দ্রুত অগ্রগতির প্রশংসা করতে গিয়ে ইভাঙ্কা বলেন, ‘‘তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে ভারতীয় শিল্পদ্যোগীরা রয়েছেন, তাঁরা ভারতের প্রসিদ্ধ বিরিয়ানির খ্যাতিকেও হারিয়ে দিতে পারেন।’’ভারত এবং আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে এই প্রথম বার আয়োজিত হল বিশ্ব শিল্পোদ্যোগী সম্মেলন। 

এই সম্মেলনে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিন ইভাঙ্কা, এই প্রস্তাব খোদ মোদীই দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। প্রধানমন্ত্রীর মোদীর নিমন্ত্রণ সাগ্রহে গ্রহণ করে হোয়াইট হাউজ। ইভাঙ্কাই জিইএস-২০১৭-তে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বলে ওয়াশিংটন জানিয়ে দেয়। ইভাঙ্কার বহুপ্রতীক্ষিত সেই সফর আজই শুরু হল। হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে সাদর অভ্যর্থনা পেলেন প্রেসিডেন্ট-কন্যা। অভিভূত ইভাঙ্কার টুইট, ‘‘এই উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। জিইএস-২০১৭-র জন্য ভারতের হায়দরাবাদে এসে আমি উচ্ছ্বসিত।’’নিজের ভাষণে ভারতের প্রশংসার পাশাপাশি মজবুত ভারত-মার্কিন মৈত্রীর বার্তাও দিয়েছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে ইভাঙ্কা বলেছেন, ‘‘হোয়াইট হাউজে ভারতের একজন সত্যিকারের বন্ধু রয়েছেন।’’ ইভাঙ্কার ইঙ্গিত যে তাঁর বাবা তথা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকেই, তা স্পষ্ট। ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর তত্ত্বাবধানে ভারত অত্যন্ত দ্রুত এগোবে’’, মন্তব্য ইভাঙ্কা ট্রাম্পের।

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1