দেশের এই ৫০ লক্ষ মানুষের জন্য মোদীসরকার আনতে চলেছে আচ্ছেদিন।কিভাবে জানলে আপনিও খুশি হবেন।

আজ আমরা দেশের এমনকিছু মানুষদের কথা বলবো যাদের কথা সাধারণত কেউ ভাবেনা। কিন্তু ভারতের আর্থিকদিক থেকে ভাবলে ইনাদেরকে দেশের হিরো ছাড়া কিছু বলবেন না।আমরা বলছি দেশের ট্রাক ড্রাইভারদের কথা। ভারতের আর্থিকব্যাবস্থার বেশিরভাগটাই দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের উপর।ভারতের প্রায় ৬৩ শতাংশ পরিবহন ট্রাকএর মাধ্যমেই হয়ে থাকে এবং প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ এই কাজে যুক্ত আছেন অর্থাৎ ভারতবর্ষে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ ট্রাকড্রাইভার দেশের অর্থব্যাবস্থার হিরো।কিন্তু দুঃখের বিষয় এইসমস্ত ট্রাকড্রাইভাররা প্রাপ্ত সন্মান,সুরক্ষা কোনোটাই পাননা।কিন্তু বতর্মানে মোদী সরকারের রাজত্বে এই বিষয়টির পরিবর্তন হতে চলেছে।আসলে মিনিস্টারি অফ রোড ট্রান্সপোর্ট এন্ড হাইওয়ের তরফে একটা নোটিস জারি করা হয়েছে।যেখানে বলা হয়েছে ২০১৮ অর্থাৎ এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই ভারতে তৈরী সমস্ত ট্রাকের কেবিন এয়ারকন্ডিশন করতে হবে।আর যদি কেবিনে এয়ারকন্ডিশন সিস্টেম না করা যায় তাহলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভেন্টিলেশন লাগাতে হবে এবং একটা নিদিষ্ট সময় মেনে রেস্টও নিতে হবে।এর জন্য মনিটারিংও করা হবে। কেন্দ্র সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে দেশের সমস্ত ট্রাকড্রাইভারদের জীবনের সুরক্ষা একটু বাড়ানো যাবে।কারণ ভারতের অধিকাংশ পথদুর্ঘটনা ট্রাকের দ্বারা হয়।আর সমীক্ষায় দেখা গেছে এই দুর্ঘটনা ট্রাকড্রাইভারের ক্লান্তির কারণে হয়ে থাকে। আপনাদের জানিয়ে রাখি ২০১৬ সালে ভারতে ৬০,৯৮৬ ট্রাকদুর্ঘটনা ঘটে।যেখানে ১৬,৮৭৬ জন লোক মারা গিয়েছেন এবং ৫৩,৮৫৮ জন লোক আহত হন।অবাক করার বিষয় হলো এই দুর্ঘটনার বেশিরভাগের কারণ হলো ট্রাকড্রাইভারের ক্লান্তি।ভারতে একজন ট্রাকড্রাইভার প্রায় ১৪ ঘন্টা থেকে ১৭ ঘন্টা ট্রাক চালিয়ে থাকেন এবং ইনাদের বিশ্রাম নেওয়ার সময় নিশ্চিত থাকে না।তাই এবার কেন্দ্র সরকার দেশের ট্রাকড্রাইভারদের জন্য আচ্ছেদিন আনতে চলেছে।

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1