নরেন্দ্র মোদীর একটা অটোগ্রাফের জন্য লাগাতার বিয়ের প্রস্তাব আসছে রীতার কাছে।

কিছু দিন আগে মেদিনীপুরে মোদীজি একটি জনসভা করেন। সেখানে অনেক মানুষ যান। খুব ভিড়ের জন্য সেখানকার প্যান্ডেলের কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে। তার ফলে সেখানে উপস্থিত কয়েক জন মানুষ আহত হয়। তাদের কে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে। সেই আহত ব্যাক্তিদের মধ্যে ছিলেন ‘রীতা মুদি নামে এক তরুনী। তাদের কে সেখানে দেখতে যান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহাশয়। তিনি সেখানে তাদেরকে দেখতে গিয়ে ‘রীতা মুদি নামে ওই তরুণীকে একটা কাগজে অটোগ্রাফ দিয়ে আসেন এবং সেই কাগজে লিখেন যে, ‘রীতা মুদি তুমি সুখে থাকো’। শুধু এইটুকু লিখাই এখন বদলে দিয়েছে বাঁকুড়ার তরুণীর জীবন। এক মুহুতে পালটে যায় তার জিবনের সমীকরন। কারন তাকে যে ব্যাক্তি অটোগ্রাফ দিয়েছিলেন তিনি হলে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শ্রীযুক্ত নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী।

১৯ বছর বয়সি রীতা মুদির জীবন পালটে দিয়েছেন মোদী হাতে লেখা সেই কয়েক টি শব্দ। রাতারাতি তিনি খ্যাতনামা হয়ে উঠেছেন। রানিবাঁধের শালগেড়ার বাসিন্দার রীতা মুদির জিবনে সেই খ্যাতির সাথে এসেছে সামান্য পরিমানে বিড়ম্বনাও। আর সেই বিড়ম্বনা হল সেই দিনের পর থেকে একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব আসছে তার কাছে। এত ভালো ভালো ফ্যামিলির প্রস্তাব পেয়ে তিনি কি করবেন খুঁজে পাচ্ছেন না।রীতা মুদি বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের ছাত্রী। বরাবরই তিনি মোদী ভক্ত। তাই মোদী আসার খবর পেয়ে মা ও বোনকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে তিনি মোদীজির ভাষন শুনছিলেন এমন সময় প্যান্ডেল ভেঙে পড়ায় তিনি আহত হন নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তার সাথে আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের দেখতে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে যান। যেই মানুষটিকে এতদিন টিভিতে দেখেছেন তাকে নিজের চোখের সামনে দেখে রিতা আর নিজেকে সামলাতে না পেরে অটোগ্রাফ চেয়ে বসেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রথম দিকে একটু দ্বিধাবোধ করলেও সেই মেয়েকে শেষ অব্দি অটোগ্রাফ দেন প্রধানমন্ত্রী।

একটি কাগজে প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা সেই কয়েকটি শব্দ এক নিমেষে রিতা এবং তার পরিবারের জীবন ঘুরিয়ে দেন ১৮০ ডিগ্রিতে। রীতার মা সন্ধ্যাদেবী জানান, যে সেই ঘটনার পর তারা বাড়ি ফেরার সঙে সঙেই বাড়িতে আসতে থাকেন অনেক মানুষ। পাড়া প্রতিবেশির সাথে আসেন অনেক অচেনা লোকজন। অনেক আত্মীয় আসেন বাড়িতে। তারা বাড়িতে এসেই প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর হাতে লেখা কাগজটি দেখতে চান। রিতাকে তার সেই দিনের অভিজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখার অনুভুতি সব কিছু সবাই কে বলতে হয়।

তার মা বলেন যে সারা দিন বিয়ের প্রস্তাব আসছে আমার মেয়ের জন্য। পাত্রদের মধ্যে কেউ সরকারি চাকরিজীবী, কেউ আবার প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী। সবার একটাই ইচ্ছা যে রীতা তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাক। রীতাকে পাত্র পছন্দ করার জন্য ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে, এখন এই সব নিয়ে কিছুই ভাবতে চাই না। এখন আমার একটাই ইচ্ছা সেটা হল ভালো ভাবে পড়াশোনা করে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে চান। পরে মা বাবার পছন্দ করা পাত্রের গলাতেই বরমাল্য দেবেন এই মোদিভক্ত কন্যা।
#অগ্নিপুত্র



from India Rag https://ift.tt/2AfFYNj
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1