‘২০১৯ এ হারলেও যেন জীবনসঙ্গিনী পেয়ে যান রাহুল গান্ধী, এই প্রার্থনা গোরক্ষনাথ মন্দিরে।’

২০১৯ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাহুল গান্ধী জোরতার প্রচার শুরু করে দিয়েছে। কংগ্রেসে মহলের দাবি ২০১৯ এ দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু মহাজোট বন্ধন একদিকে যেমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তেমনি সম্প্রতি সার্ভে জানিয়ে দিচ্ছে যে ২০১৯ এ ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার সৌভাগ্য সোনিয়া পুত্র রাহুলের হবে না। আপনাদের জানিয়ে রাখি কংগ্রেসে রাহুল গান্ধী যুব নেতা বলে পরিচিত হলে রাহুল গান্ধী বয়স ৪৮ এর বেশি যার কারণে মাঝে মধ্যেই রাহুল গান্ধীর বিয়ের প্রসঙ্গ তুলে মজা নেন বিজেপি সমর্থকরা। সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর বিয়ে নিয়ে এমনি মজা করলে বিজেপি নেত্রী স্বাধ্বী প্রাচী। ইনি বলেন ২০১৯ এ কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলেও যেন রাহুলের কপালের একটা বউ জুটে যায়।

সোমবার দিন গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন স্বাধ্বী প্রাচী। আর তার পরেই এমন মন্তব্য করেন তিনি। স্বাধ্বী প্রাচী বলেন, শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার, গোরক্ষনাথের কৃপা পেতে এসেছিলাম সেই সময় রাহুল গান্ধীর জন্য গোরক্ষনাথের কাছে প্রার্থনা করেছি যে যদি কংগ্রেস নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলেও যেন একটা জিবনসঙ্গিনী পেয়ে যায়।

আপনাদের জানিয়ে রাহুল গান্ধী দেশের সবথেকে পুরানো পার্টির সভাপতি হলেও বহুবার ভুলভাল ভাষণের জন্য রাজনৈতিক জগতের মজার পাত্রে পরিণত হয়েছেন তিনি। বিজেপি নেত্রী স্বাধ্বী প্রাচী এর এইরকম মন্তব্যর জন্য ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা।

কিছুদিন আগেই রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মন্তব্য করে কটাক্ষ করেছিলেন বসপার সুপ্রিমো মায়াবতী। মায়াবতীর এক ঘনিষ্ট বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীর মা বিদেশিনী। বাবার থেকে মায়ের সাথে বেশি মিল রয়েছে রাহুলের তাই প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না তিনি।

রাহুল গান্ধীর উপর বার বার এইভাবে আক্রমন করছে বাকি রাজনৈতিক দলগুলি যা সামলাতে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস।আসলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, রাহুল রাজনীতির জন্য যোগ্য নয়, তার উপর আবার কংগ্রেসের মতো পুরানো দল চালানো তার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হচ্ছে তাই এমন আক্রমন আসছে অন্যান্য দলগুলি থেকে।

The post ‘২০১৯ এ হারলেও যেন জীবনসঙ্গিনী পেয়ে যান রাহুল গান্ধী, এই প্রার্থনা গোরক্ষনাথ মন্দিরে।’ appeared first on India Rag.



from India Rag https://ift.tt/2LM9S0p
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1