হিন্দুদের আস্থার সন্মান রাখতে বড়ো পদক্ষেপ নিলেন যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

হিন্দুদের ইস্ট দেবতা ভগবান শিব। এই বাবা শিবের উপাসনা করার জন্য উনার ভক্তরা অনেকটা পথ অতিক্রম করে জল ঢালেন বাবার মাথায়। দেশের প্রায় সমস্ত জায়গায় হিন্দুরা বাবা শিবের পুজা করে থাকেন এই শ্রাবণ মাসে। ভক্তরা বাবা ভোলানাথের মাথায় জল দিয়ে পুণ্যলাভ করেন। সেই জন্যই বাবা শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য কাওয়ার যাত্রা নামক একটি বিশেষ যাত্রা প্রচলিত আছে বিহার এবং উত্তর প্রদেশের এলাকাগুলিতে । সেটি আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলেছে। দেশের সব জায়গা থেকে শিব ভক্তরা সেই যাত্রায় অংশগ্রহন করেন ভাগবান শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য।
কিছু না খেয়ে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করে বাবা শিবের মাথায় জল ঢেলে পুন্যতা লাভ করা হয় এটাই দীর্ঘদিনের রীতিনীতি।

প্রতিবারের মতোই এবারও উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার নজর রাখছেন শিব ভক্তদের যাত্রা পথে। তাদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। তবে এরার উল্লেখযোগ্য হল যে রাস্তা দিয়ে শিব ভক্তরা হেঁটে যান সেই রাস্তাতে সমস্ত মাংসের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। হিন্দুদের আস্থার উপর খেয়াল রেখেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

এছাড়াও যারা কাঁধে বাঁক নিয়ে হেঁটে যান মাইলের পর মাইল তাদের উপর বিশেষ নজর রাখছেন হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের সাহায্য। তাদের যেন কোনো রকম অসুবিধা না হয় সেই সব দিকে খুব যত্নসহকারে নজর রাখছেন প্রশাসন। থাকছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাবস্থা যাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে খুব তাড়াতাড়ি তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়। থাকছে মেডিকেল ক্যাম্প।

আগের সরকারের আমলে DJ সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল,কিছু বিশেষ এলাকা দিয়ে পেরোতে দেওয়া হতো না ভক্তদের। এমনকি লাঠিচার্জও করা হতো। কিন্তু এবার যোগী সরকারের সিধান্ত অনুযায়ী ভক্তরা যেকোনো স্থান দিয়ে পেরোতে পারবেন এবং Dj বাজাতে পারবেন। শুধু এই নয় ভক্তদের উপর ফুল ছড়ানোর ব্যাবস্থা করবে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

#অগ্নিপুত্র



from India Rag https://ift.tt/2LwAX8e
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1