“২০২২ এর মধ্যে প্রত্যেক গরিব ব্যাক্তিদের কাছে থাকবে পাকা বাড়ি।”

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হবার পর দেশের প্রধানমমন্ত্রী পদে বসেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহাশয়। প্রধানমন্ত্রী হবার আগে তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন ১৫ বছর। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি গরিবদের জন্য অনেক কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেন যে কারণে গোটা দেশের সবথেকে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেশে নাম ছড়িয়ে পড়ে। প্ৰধানমন্ত্রী বরাবরই গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর ইস্যুকে প্রধান লক্ষ রেখে কাজ করার কথা বলে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে আসার পরেই আবাস যোজনা চালু করেছিলেন যার মূল্য উদেশ্য দেশের গরিব মানুষদের জন্য বাড়ি প্রদান করা। শনিবার প্রধানমন্ত্রী লখনউতে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেখানে তিনি তার বক্তৃতা রাখার সময় বলেন যে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত গরিব মানুষকে তাদের নিজের বাড়ি করে দেবে কেন্দ্র সরকার।

কাউকে আর রাস্তাঘাটে দিন কাটাতে হবে না। ঠাণ্ডায় আর কোনো গরিব মানুষের কষ্ট হবে না। সবার জন্য মাথা গোঁজার মত আশ্রয় করে দেবে মোদী সরকার। ২০২২ সালে পরে কেউ আর গৃহহীন থাকবেন না।এই বছর অম্রুত, স্মার্ট সিটি প্রকল্প ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তিন বছর পূর্তি হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে লখনউতে ‘ট্রান্সফর্মিং আরবান ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

সেখানে নিমন্ত্রণ পেয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লখনউতে আসেন মোদীজি। সেখানে মোদীজি জানান যে দেশের সমস্ত গরিব মানুষের জন্য নিজস্ব বাড়ি তৈরীর জন্য যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তার লক্ষ্যে সরকার ক্রমাগত কাজ করে চলেছেন।
সেই পরিকল্পনা ২০২২ সালের মধ্যেই সফল হয়ে যাবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান যে ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকার দেশের বিভিন্ন শহরে গরিব মানুষদের জন্য ৫৪ লক্ষ এবং গ্রাম অঞ্চলে এক কোটি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী দু-দিনের সফরে এসেছেন যোগীজির রাজ্যে। সেখানে তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের শিলান্যাস করেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি দেশের সমস্থ রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশে আবাস যোজনা ও শৌচালয় তৈরির কাজ সবচেয়ে দ্রুতগতিতে চলছে। গত দেড় বছর যোগী সরকার মোট ৮ লক্ষ ৮৫ হাজার বাড়ি তৈরি করেছে এবং একই সাথে ১০ লক্ষের বেশি শৌচালয় তৈরি করে রেকর্ড গড়েছেন।
#অগ্নিপুত্র

The post “২০২২ এর মধ্যে প্রত্যেক গরিব ব্যাক্তিদের কাছে থাকবে পাকা বাড়ি।” appeared first on India Rag.



from India Rag https://ift.tt/2Lyqutc
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1