পাকিস্থান নির্বাচনে হিন্দু নেতার দাপট! ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে তৈরি করলেন ইতিহাস।

কিছু দিন আগে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে। তার ফলাফল প্রকাশ হল। সেখানে দেখা গেছে যে, প্রথমবারের জন্য কোনো হিন্দু নেতা পাকিস্তানে নির্বাচনী লড়াই করে ভোটে জিতেছে। পাকিস্তানের এই সাধারন নির্বাচনে দেখা গেল প্রথমবার হিন্দু নেতা জিতে এমপি হলেন। সেই হিন্দুনেতার নাম ডঃ মহেশ কুমার মালানি। তিনি একাই লড়াই করে নিজের ক্ষমতায় সেখানে জিতেছে। তিনি জয়লাভ করেছেন থারপরকার আসনে যেটা সিন্ধু প্রান্তে অবস্থিত। সেই অঞ্চলে অন্য কোনো ধর্মের চেয়ে হিন্দু ভোটার তুলনামূলক বেশি বলেই জানা গিয়েছে।

মালানি নামক যে নেতা সেখানে জিতেছেন তিনি সেখানে খুব জনপ্রিয় বলে জানা যায়। উনি যখন সেখানে নির্বাচনী সভা করতেন তখন সেখানে দেখার মত ভিড় হত। অন্য পার্টির নেতা দের তুলনায় তার জনসভাতে ভিড় বেশি হত। তার জনপ্রিয়তা শুধু মাত্র হিন্দুদের মধ্যের সীমাবদ্ধ হয়ে ছিল না, সেই এলাকাভুক্ত সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তা ছিল সমান। বিজয়ী প্রাথি মালানি হল পাকিস্তান পিউপলস পার্টির নেতা। তিনি সেই পার্টি তে অনেক দিন ধরে আছেন।

তাই তার জনপ্রিয়তা এখন পুরো একালা জুড়ে। ভোটে জিতে যাবার পর তিনি তার ট্যুইটার অ্যকাউন্ডে লিখেন যে আমাদের দল কে সাপোর্ট করার জন্য পাকিস্থানবাসী কে ধন্যবাদ।যারা আমাদের ভোট দিয়ে জয়ী করলেন তারা এই ভাবেই সারা জীবন আমাদের পাশে থাকবেন। এবং সেই সাথে তিনি এটাও লিখেন যে, গোটা পাকিস্থান যে আমাদের পার্টির সমর্থনে আছেন সেটা আবার প্রমান হয়ে গেল এই নির্বাচনের মাধ্যমে।

২০০২ এ অমুসলিমরা পাকিস্থানের নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি পায় তার পর এই প্রথম কোনো হিন্দু ন্যাশনাল এসেম্বলির নির্বাচন জিতেছেন। ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে জেতেন মহেশ মালানি। তবে এর আগে পাকিস্তান সেনেট ভোটে কৃষ্ণা কুমারী থারপার্কার আসনে জয় লাভ করেছিলেন।

#অগ্নিপুত্র



from India Rag https://ift.tt/2uWgpM7
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1