অবৈধ জবাইখান বন্ধ করার পর চমৎকার বক্তব্য দিলেন যোগী আদিত্যানাথ।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিজেপি ভারতের শাসনকার্য তাদের হাতে নিয়েছিল। কেন্দ্রে বিজেপি আসার পর থেকে বিজেপি রাজ্যগুলিতে এমনভাবে বিস্তার করেছে যে দেশের প্রায় ৮০% স্থানে বিজেপি ও তার সহযোগীদের শাসন রয়েছে। গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের সসক্তিকরণ করার জন্য মোদী সরকার দেশে বহু বড় বড় পদক্ষেপ নিয়েছে যা দেশের অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন করেছে। এখন দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকার জন্য দেশের বিকাশ এখন বহু দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরপ্রদেশে দেশের সবথেকে বড় রাজ্য যেখানে আগের বছর নির্বাচনে জনগণ বিজেপির উপর ভরসা করে প্রচন্ড বহুমতের সাথে জিতিয়েছিল। এই জয়লাভের পর উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথকে নির্বাচন করা হয়েছিল।

উত্তরপ্রদেশের শাসন ক্ষমতা নিজের হাতে পাওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ এমন এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যা সকলকে দেশবাসীকে চমকে দিয়েছিল। আর সেই কারণেই যোগী আদিত্যনাথ প্রধানমন্ত্রী মোদীর পর দেশের ২ য় সকবথেকে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। যোগী আদিত্যনাথের সেইসব সিদ্ধান্তের মধ্যে অবৈধ জবাইখানা বন্ধ করা, সমস্ত ধার্মিক স্থলথেকে লাউড স্পিকার সরিয়ে ফেলা, মেয়েদেরকে খারাপ ব্যাক্তিদের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য আন্টি রোমিও স্কোয়াড গঠন করা এবং রাজ্যে গুন্ডাগিরি বন্ধ করতে পুলিশকে মজবুত করা ছিল অন্যতম।

যোগী আদিত্যনাথ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে এক ইন্টারভিওতে জানিয়েছেন যে যদি উত্তরপ্রদেশে অবৈধ জবাইখানা বন্ধ না করা হতো তাহলে সেখানে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা বহু সংখ্যায় ঘটতো। যোগীজি বলেন, দেশের যেকোনো জায়গায় এই ধরণের ঘটনা ঘটলে রাজ্য সরকারের উচিত কড়া শাসন প্রয়োগ করা।তিনি বলেন, একই সাথে জনগণের উচিত একে অপরের ভাবনার সম্মান করা ।

যোগী আদিত্যনাথ তার কথার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন যে অবৈধ জবাইখানা বন্ধ করলে মব লিনচিং এর মত ঘটনা অনেক কমে যাবে এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থেকে এড়ানো যাবে। আপনাদের জানিয়ে রাখি যোগী সরকারের বড় বড় সিদ্ধান্তের কারণে যে উত্তপ্রদেশে আগে দাঙ্গা লেগেই থাকতো সেখানে এখন একটাও বড় দাঙ্গা ঘটেনি।

The post অবৈধ জবাইখান বন্ধ করার পর চমৎকার বক্তব্য দিলেন যোগী আদিত্যানাথ। appeared first on India Rag.



from India Rag https://ift.tt/2uYKwCV
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1