এক মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর দল এমন কুমন্তব্য করলো যা যেকোনো দেশভক্তকে আঘাত দেবে।

কংগ্রেস নেতারা লাগাতার বিজেপি সরকারের উপর আক্রমণ করছে এই বলে যে বিজেপি ইতিহাসকে অন্যভাবে পাঠ্যপুস্তকে পেশ করছে। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আমাদেরকে যে ইতিহাস পড়ানো হয় সেখানে কংগ্রেসের মহিমামণ্ডপ ছাড়া আর কিছুই নেই। রাজনীতির খেলা কিভাবে ইতিহাসে খেলা হয় এটাও দেখার মতো বিষয়। যখন থেকে সঙ্ঘ স্থাপিত হয়েছে তখন থেকে কংগ্রেস স্বাধীনতা আন্দোলনে সঙ্ঘের অবদানকে মিথ্যা করার চেষ্টা করে আসছে এবং দেশের ইতিহাস এমনভাবে পেশ করছে যেন একটা পরিবার(গান্ধী/নেহেরু পরিবার) দেশকে স্বাধীন করেছে। এখন গোয়াতে পাঠ্যপুস্তকে বীর সভারকারকে যুক্ত করার পর থেকে কংগ্রেস আপত্তি প্রকাশ করতে শুরু করেছে। কারণ রাহুল গান্ধীর দলের ধারণা এই যে ভারতকে স্বাধীনতা একটা পরিবার দিয়েছে।

কংগ্রেস এর বক্তব্য আজ জওহরলাল নেহেরুকে সরিয়ে বীর সভারকারকে আনা হয়েছে তাহলে এবার মহাত্মা গান্ধীকেও সরিয়ে দেওয়া হবে। কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি পাঠ্যপুস্তক থেকে ইংরেজদের সাথে লড়াই করা জওহরলাল নেহেরুর ছবি সরিয়ে নিজের মুক্তির জন্য ক্ষমা চাওয়া সভারকারের ছবি রাখা হয়ছে। এর জন্য কংগ্রেস একটা টুইট করেছে যেখানে তারা একদিকে জওহরলাল নেহেরুরু ছবি রেখেছে অন্যদিকে বীর সভারকার এর ছবি রেখেছে। জওহরলাল নেহেরুরু ছবির পাশে লেখা হয়েছে ইনি ইংরেজদের সাথে লড়াই করেছিলেন অন্যদিকে বীর সভারকারকে ছবির পাশে লেখা হয়েছে ইনি ইংরেজদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কংগ্রেসের নিজের মতো করে বানানো ওই টুইট দেখে জনগণ রাগে ফেটে পড়েন কারণ কংগ্রেস জওহরলাল নেহেরুকে লড়াকু দেখানোর জন্য বীর সভারকারকে অপমান করেন। টুইটের কমেন্টে বহুজন স্বাধনীতা আন্দোলনে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে এমন এমন প্রশ্ন তুলেন যার উত্তর হয়তো তাদের কাছে নেই।  

আপনাদের জানিয়ে রাখি, কংগ্রেস সভারকারকে নিয়ে মিথ্যা কুমন্তব্য করলেও ইনি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দু দুবার আজীবন জেল গিয়েছিলেন। এই রাষ্ট্রভক্ত নেতার প্রতিবাদ এতটাই জোরালো ছিল যে ইংরেজরা প্রায় ৩০ বছর বীর সভারকারকে বন্দি বানিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছিল।

সভারকার সেই ব্যক্তি ছিলেন যিনি সর্বপ্রথম বিদেশী বস্তুর বয়কট করার আহ্বান করেছিলেন এবং বিদেশী বস্তুতে আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। যার পর উনার উপর মামলা চালানো হয়েছিল এবং কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। শুধু এই নয় বীর সভারকারের লেখা বইগুলি ইংরেজ শাসনকে এমনভাবে কাঁপিয়ে তুলেছিল যে তারা বইগুলি ব্যান করে সভারকারকে বন্ধি বানিয়েছিল।



from India Rag https://ift.tt/2uVGQBB
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1