অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যোগী সরকারের বড়ো ঘোষণা।

রাম মন্দিরের ইস্যু কয়েক বছর ধরে টান চলে আসছে যেখানে কংগ্রেসের উকিল তাদের সমগ্র প্রচেষ্টা ঝুকে দিয়েছে রাম মন্দির তৈরি আটকানোর জন্য। কিন্তু এবার ভগবান শ্রী রামের ভক্তদের বেশি অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। এবার উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার রাম মন্দিরকে নিয়ে বড়ো ঘোষণা করে দিয়েছে। এবার কোর্ট রাম মন্দির তৈরির উপর আদেশ না শোনালে সাংসদের সাহায্যে রাম মন্দির তৈরির পদক্ষেপ নেওয়া হবে যার দাবি বহু বছর ধরে মানুষ করে আসছে। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী যোগী সরকারে থাকা উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌযা রাম মন্দির নিয়ে বড়ো ঘোষণা করে হিন্দু বিরোধী কংগ্রেসের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে এবং একই সাথে দেশের মধ্যে একটা আশা জাগিয়েছেন। কেশব প্রসাদ মৌর্যা বলেন, আমার সম্পুর্ন ভরসা আছে যে যদি প্রয়োজন পড়ে এবং কোনো রাস্তা না পাওয়া যায় তাহলে মোদী সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বিধাইকার রাস্তা বেছে নেবে।

এই বিষয়ের দাবি বহুদিন ধরে চলে আসছে কারণ সাংসদে রাম মন্দিরের উপর বিধেয়ক আনা হয় না। উপমুখমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন সাংসদের রাস্তায় তখনই রাম মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন হবে যখন আমরা দুটি সদনেই মজবুত স্থিতে চলে আসব। উনি বলেন, বর্তমান সময়ে দুই সদনে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যাবল নেই। আমার এটা লোকসভায় তো নিয়ে চলে আসব কিন্ত রাজ্যসভায় আমাদের সংখ্যাবল কম আছে আর এটা প্রত্যেক রামভক্ত জানে। ২০ রাজ্যে মোদী সরকার নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছে কিন্তু দুই সাংসদে আমাদের সংখ্যাবল মজবুত রাখতে হলে আগত ৫ বছর একইভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

তবেই কোর্টের অনুমতি না নিয়েই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে তিন তালাক, হালালা, খতানর মতো বিষয়ে বাধ্য হয়ে সরকারকে কোর্টের মুখ দেখতে হচ্ছে কিন্তু আজ বিজেপি সরকার প্রমান করে দিয়েছে যে তাদের নিশানা লক্ষ্য বরাবরই রয়েছে। প্রয়োজন শুধু সময়ের এবং রাজ্যসভায় বহুমতের। তার পরে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মানের পথে কোনো কাঁটা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। মৌর্যা বলেছেন, আমাদের কাছে মজবুত সংখ্যাবল থাকলে আমরা এটার সৎব্যাবহার করবো, কোনো খারাপ কাজে ব্যবহার করবো না। উনি বলেন রামমন্দিরের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হচ্ছে আর যদি রাম মন্দির নির্মাণ এখন সম্পন্ন হয় তাহলে বিশ্বহিন্দু পরিষদের মহান নেতা অশোক সিংগেল, মহন্ত রামচন্দ্র দাস পরমহংস এবং নিজের বলিদান দেওয়া করসেবকদের সত্য শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হবে।

আপনাদের জানিয়ে দি, এটা চরম সত্য যে রাজ্যে আগত প্রত্যেক নির্বাচন ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি লাগাতার জয়লাভ করতে থাকে তাহলে রাজ্যসভায় বিজেপি নিশ্চিত বহুমত লাভ করবে। রাজ্যসভায় বহুমত পেলে ধারা ৩৭০,৩৫A, অথবা রাম মন্দিরের মতো বিষয়গুলির সমস্যার সমাধান করা বিজেপির কাছে খুবই সহজ হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, আপনাদের জানিয়ে দি রাম মন্দির হোক বা হালালা হোক প্রত্যেক বিষয়ে কংগ্রেস মোদী সরকারের বিরোধ করবে কারণ তাদেরই উকিল কোর্টে এই সব বিষয়ে সরকারের বিরোধে কাজ চালাচ্ছে।

The post অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যোগী সরকারের বড়ো ঘোষণা। appeared first on India Rag.



from India Rag https://ift.tt/2OWvoxe
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1