বিশ্বের শক্তিশালী নেতাদের তালিকায় আরো একবার নরেন্দ্র মোদী। তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর স্থান জানলে চমকে যাবেন।

২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে বিপুল পরিমাণ মানুষের সমর্থন নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদী সরকার। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই বিশ্বের দরবারে আমাদের দেশের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিধর দেশ গুলির সাথে চোখে চোখ রেখে টক্কর নেওয়ার মত মনবল গড়ে উঠেছে। আপনারা জানলে সত্যি অবাক হয়ে যাবে যে, আগে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বিশ্বস্তরে গুরুত্ব দেওয়া হত না, তাদের শক্তির কোনো বিশেষ মর্যদা ছিল না। কিন্তু এখন মোদীজি কে বিশ্বের রাজনীতি মঞ্চে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। শক্তিধর প্রধানমন্ত্রীদের তালিকায় মোদীজিকে রাখা হয় একেবারে প্রথম সারিতে। কিছুদিন আগে ফোবস নামে একটি বিখ্যাত সংস্থা জানিয়েছেন যে, মোদী সরকার এই মুহুতে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বস্থ সরকারের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন। ফবসের দাবি ছিল বিশ্বের সবথেকে ভরসাযোগ্য সরকারের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
Eisamay এর তথ্য অনুযায়ী তবে এবার এক প্রতিষ্ঠিত সংস্থা মোদী সরকারের সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন যেটা শুনলে আপনিও চমকে যাবেন। আসলে গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন নামে একটি বিখ্যাত সংস্থা কিছুদিন আগে একটি সার্ভে করেছিল। এই সার্ভের পর তারা জানিয়েছেন যে, এই মুহুতে বিশ্বের ৩ য় শক্তিশালী নেতা হিসাবে মোদীজির নাম তারা প্রকাশ করেছেন। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রাখা হয়েছে জার্মানির চান্সলোর এঞ্জেলা মর্কেলকে এবং দ্বিতীয় স্থান দেওয়া হয়েছে ফ্রেঞ্চ রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোনকে।

আর ঠিক এরপরেই অর্থাৎ তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহাশয় কে। সবচেয়ে বড়ো এবং ভারতবাসী দের জন্য খুশির খবর হচ্ছে যে, চিন ও আমেরিকার মত দেশের রাষ্ট্রপতিরাও এই তালিকায় মোদীজির পিছনে রয়েছেন। তারাও টক্কর নিতে পারেন নি মোদীজির সাথে। প্রভাবশালী নেতার তালিকায় চীনের রাষ্ট্রপতি এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম রাখা হয়েছে মোদীজির পরে।

আপনাদের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি, GIA সংস্থা তাদের লিস্টে যষ্ট স্থান দিয়েছেন রুশ রাষ্ট্রপতি পুতিনকে। তারপরে অষ্টম স্থানে রয়েছেন ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ২০১৫ সালের সার্ভে অনুযায়ী মোদীজি ছিলেন পঞ্চম স্থানে। এবং আমেরিকার প্রাপ্তন রাষ্ট্রপতি বারাম ওবামা ছিলেন প্রথম স্থানে। কিন্তু এবারের সার্ভেতে আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন দেশের প্রধান নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ট ট্রাম্পের প্রাপ্ত স্থান ১০ ম। অপরদিক মোদীজি রয়েছেন ৩ য় স্থানে।
#অগ্নিপুত্র
The post বিশ্বের শক্তিশালী নেতাদের তালিকায় আরো একবার নরেন্দ্র মোদী। তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর স্থান জানলে চমকে যাবেন। appeared first on India Rag.


from India Rag https://ift.tt/2PysMXk
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1