শিব সেনাকে নিজের দলে টেনে কংগ্রেসকে ঝটকা দিতে অমিত শাহের নতুন নীতি! মাঠে নামালেন দ্বিগজ অভিজ্ঞ এই নেতাকে।

আগামী লোকসভার উপর নজর রেখে ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের সযোযোগী দলের সাথে তালমেল বজায় রাখার সমগ্র প্রচেষ্টা করছে। প্ৰধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ NDA এর অংশ থাকা শিব সেনার সাথে এই বিষয়ে কয়েকবার আলোচনায় বসে ফেলেছে। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা খুবই মজবুত থাকায় বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পুরানো সাথী শিবসেনার সাথে থেকেই লড়াই করতে পারে। এই কারণেই অমিত সহ এক বড়ো খেলা দিয়ে এক দ্বিজগ নেতাকে শিবসেনার কাছে পাঠিয়েছে। মিশন ২০১৯ এর জন্য বিজেপি একটা বড় লক্ষ রেখেছে এবং ১৯ নির্বাচনে বড়ো জয়লাভের জন্য বিজেপি যেকোনো মাস্টারপ্ল্যান খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের সাথে শিব সেনা প্রমুখ উদ্ধত ঠাকুরের কয়েকবার কথাবার্তা সম্পন্ন হয়েছে।
তবে এখনো যেহেতু দূরত্ব একটু রয়েছে সেটাকে কমানোর জন্য আরো একটা মাস্টারস্টোক খেলেছে বিজেপির চানক্য নামে পরিচিত সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এবার অমিত শাহ শিবসেনার সাথে কথা বলার জন্য এক বহু অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নেতাকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। বিজেপির মুরলি মনোহর জোশীকে এবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিব সেনাকে বিজেপির লোকসভা ও বিধানসভার  নীতি নিয়ে অবগত করতে। মুরলি মনোহর জোশী বান্দ্রায় উপস্থিত উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে দেখাও করে নিয়েছেন।

যদিও দুজনের বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে সেটা এখনো সামনে আসেনি। তবে মিডিয়া এটা নিশ্চিত করেছে যে আগামী লোকসভা নির্বাচন নিয়ে শিব সেনার সুপ্রিমোর সাথে মুরলি মনোহর জোশীজি আলোচনা করেছেন। আপনাদের জানিয়ে দি, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা কার্যকাল পরের বছর অক্টোবর-নভেম্বরে করা হতে পারে। কিন্তু বিজেপি ৬ মাস আগেই সেই নির্বাচন করানোর উপর চিন্তাভাবনা করছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফরণবিশ কয়েকটি বৈঠকে এ নিয়ে বলেছেন।

তিনি বলেছিলেন যে বিজেপির প্রস্তুতি ভালো আর নির্বাচন কয়েক।মাস আগেই করানো হতে পারে। শিবসেনার সঞ্জয় রাউত বলেছেন এটা উদ্ধত ঠাকরে ও মুরলি মনোহর জোশীর মধ্যে বৈঠককে শিষ্টাচারের মধ্যে একটা সাক্ষাৎ বলে এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ও লোকসভাকে মাথায় রেখে বিজেপি তাদের মার্গদর্শন মন্ডলের মুরলি মনোহর জোশীকে বৈঠকের জন্য মাঠে নামিয়েছিলেন।এখন অমিত শাহের এই মাস্টারপ্ল্যান সাফল্য পেলে বিরোধীদের চিন্তা আরো বেড়ে যাবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1