সুরক্ষাকর্মী ছাড়াই, কাউকে না জানিয়ে কেন মায়ের কাছে পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!

দেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি ভারত মাতার সুপুত্র যিনি দেশকে পুনরায় বিশ্বগুরু করার পন নিয়েছেন। আর এই কারণে বহু বছর আগেই ঘর বাড়ি ত্যাগ করে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। সম্প্রতি মাননীয় নরেন্দ্র মোদীজি গত বৃহস্পতিবার সোমনাথ ট্রাস্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। সেটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গান্ধীনগরে একটি রাজভবনে। এই বৈঠকটি শেষ হবার ঠিক পরেই তিনি কাউ কে কোনোরকম খবর না দিয়ে একেবারে অপ্রত্যাশিত ভাবে তার মা সাথে দেখা করার জন্য চলে যান। গান্ধীনগরে থাকেন উনার মা, সেখানেই হঠাৎ চলে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তবে Eisamay এর তথ্য অনুযায়ী এই ব্যাপারটি যতটা অপ্রত্যাশিত মনে হচ্ছে তার থেকেও অনেক বেশি পরিমানে অবাক করার মত। কারন তিনি যখন সেখানে যান তার সাথে ছিল না কোনোরকম নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি একা একাই মায়ের সাথে দেখা করার জন্য সেখানে চলে যান। মা হীরাবেন মোদী সাথে সময় কাটান তিনি। আপনাদের জানিয়ে দি, মোদীজির মা ছোট ভাই পঙ্কজ মোদীর সাথেই থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী সেখানে বসে ১৫ মিনিট তাদের সাথে গল্প করেন।
উল্লেখ্য, গুজরাতের ভালসাদের জুজওয়া গ্রামে এক জনসভায় মোদীজি বক্তব্য রাখেন। সেই সময় তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী আভাসযোজনার মাধ্যমে দেশের সমস্ত গরিব নাগরিকদের নিজের বাড়ি তৈরী করে দেবে সরকার। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ২০২২ সালে আমদের দেশে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন হবে। আর তার আগেই মোদীজি দেশের সমস্ত মানুষের জন্য নিজের বাড়ি করে দেবেন। তিনি এটাও বলেন যে সেই সমস্ত বাড়ি তৈরী করার জন্য এক টাকাও লাগবে না সমস্ত খরচায় বহন করবে সরকার। এবং সেই সমস্ত বড়ি গুলির উপকরণ গুলি হবে যথেষ্ট উন্নতমানের।

সেই সাথে তিনি আরও বলেন যে, তার জীবনে গুজরাতের অবদান অনস্বীকার্য। কিভাবে মানুষের পাশে গিয়ে তাদের জন্য কাজ করতে হয় সেই সব কিছু তিনি তার রাজ্য থেকেই শিখেছেন। কেমন করে নির্দিষ্ট সময়ে নিজের সপ্ন গুলিকে পূরন করতে হয় সেটাও তাকে তার রাজ্য শিখিয়েছে। তাই তিনি সেই আদর্শকে অনুকরণ করেই দেশের প্রত্যেক গরিব পরিবারকে নিজের বাড়ি করে দেওয়ার সপ্ন দেখাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত আপনাদের জানিয়ে দি মোদী সরকার আবাস যজোনার উপর জোর দিয়ে বেশ দ্রুতগতিতে কাজ করে চলেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের ভালো তালমেল থাকার জন্য কাজের গুণমান ভালোই হচ্ছে। বিজেপি না থাকা রাজ্যগুলির সাথেও কোনো রকম দুর্ব্যবহার করেনি কেন্দ্র। যদিও কেন্দ্রের কিছু কিছু প্রকল্প রাজ্য সরকার নিজেদের রাজ্যে লাগু করতে দিচ্ছে না যার জন্য দেশের প্রত্যেক এলাকা সমানভাবে উন্নত হচ্ছে না যাতে সংঘাত বাড়ছে রাজ্য ও কেন্দ্রের।
#অগ্নিপুত্র
The post সুরক্ষাকর্মী ছাড়াই, কাউকে না জানিয়ে কেন মায়ের কাছে পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! appeared first on India Rag.


from India Rag https://ift.tt/2MNdPCo
24 ghanta

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1