সঙ্ঘের কার্যালয়ে পৌঁছালেন ইয়েদুরাপ্পা, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন তিনি 24 ghanta

প্রায় একমাস ধরে চলা কর্ণাটকের নাটকের অবসান ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যের পর ১৪ মাস ধরে চলা কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতন হল। বিধানসভায় আস্থা ভোটে ৯৯ টি ভোট পায় জোট সরকার, আরেকদিকে বিজেপি ১০৫ টি আসন পায়। এরপর থেকেই বিজেপির সরকার গড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। আজ কর্ণাটকে বিজেপির বিধায়ক দলের বৈঠক হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগে বি.এস ইয়েদুরাপ্পা বুধবার সকালে ব্যাঙ্গালুরুর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান কার্যালয়ে যান। সেখানে উনি সঙ্ঘের বরিষ্ঠ নেতাদের রাজ্যে হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা জানান। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সরকার পড়ে যাওয়ার পর, এবার বিজেপির বিধায়ক দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। 24 ghanta সেখানে ইয়েদুরাপ্পা কে বিধায়ক দলের নেতার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপর ইয়েদুরাপ্পা সরকার গড়ার দাবি পেশ করবেন।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর বিজেপির নেতা সদানন্দ গৌড়া পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইয়েদুরাপ্পাই মুখ্যমন্ত্রী হবে। উনি বলে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আগেই এই ব্যাপারে নিজেদের মতামত জানিয়ে দিয়েছে। আরেকদিকে বিজেপির নেতা জগদীশ শোট্টার বলেন, আমাদের সাথে ১০৫ জন বিধায়ক আছে। বিধানসভায় আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আমরাই সরকার বানাবো। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফা এখনো স্বীকার করেন নি স্পীকার। এবার দেখা যাবে যে, তাঁরা বিজেপির সাথে আসছে কি না।


Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1