স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বানাচ্ছেন প্ল্যান, উপত্যকায় খুব তাড়াতাড়ি হতে চলেছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘর ওয়াপসি Bangla News


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং ওনার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের টিম উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘর ওয়াপসির জন্য যুগান্তকারী রণনীতি বানাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ সুত্র জানান, অমিত শাহ এই ব্যাপারে গত এক মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাশ্মীরি ডিভিশন এর প্রধান আধিকারিকদের সাথে বেশ করেকবার বৈঠক করে ফেলেছেন। অমিত শাহ জম্মু কাশ্মীরে সক্রিয় রণনীতির সাথে বাহারি এবং অন্দরের সন্ত্রাসবাদের সাথে মোকাবিলা করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসন করাতে চান। ১৯৮৯ সালের পর থেকে কাশ্মীরে কট্টরপন্থী দের অত্যাচারে প্রায় তিন লক্ষ কাশ্মীরি পণ্ডিত তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছিল।
সুত্র জানায় যে, কেন্দ্র সরকার উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য সুরক্ষিত বসবাস যোগ্য এলাকা বানানোর প্ল্যান করছে। এই পরিকল্পনা এর আগে ২০১৫ সালে কাশ্মীর সরকার দ্বারা নেওয়া পদক্ষেপের থেকেও বেশি কার্যকারী হবে। পুনর্বাসন যোজনা ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কল্যাণকারী যোজনা গুলোতেও নজর রাখছেন। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ প্রভাবিত রাজ্যে বসবাসকারী বিধবা, সন্ত্রাসবাদের শিকার হওয়া মানুষ, বিকলাঙ্গ আর প্রবীণ নাগরিক সম্বন্ধিত কল্যাণমূলক পরিকল্পনা গুলোতে বেশি করে নজর রাখা হচ্ছে। জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক শুক্রবার আভাস দিয়েছেন যে, উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় রণনীতি বানাচ্ছে।
রাজ্যপাল এই ব্যাপারে আশ্বস্ত যে, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই এই পরিকল্পনার ঘোষণা করা হবে। সুত্র জানায় যে, আগামী মাসে অমরনাথ যাত্রা শেষ হলেই, সরকার তাঁদের পরিকল্পনার ঘোষণা করবে। সরকারের এই পরিকল্পনা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের জন্য এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা বিগত তিন দশক ধরে নিজেদের পুনর্বাসনের জন্য সুরক্ষিত নীতির অপেক্ষা করছে। এর আগে লোকসভাতে ১৬ই জুলাই এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র রাজ্য মন্ত্রী জি. কিষাণ রেড্ডি বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৯২০ কোটি টাকা কাশ্মীরের জন্য ঘোষণা করে ৬০০০ ট্রান্সিট আবাসের নির্মাণের মঞ্জুরি প্রদান করেছেন।
কেন্দ্র সরকার প্রত্যেক প্রবাসী পরিবারকে প্রতিমাসে ১৩ হাজার করে ত্রান দিচ্ছে। সুত্র জানায় যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কাশ্মীরের রাজ্যপাল এবং ওনার উপদেষ্টাদের রাজ্যে দুর্নীতি বিরোধী তদন্তের আওতা আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-র অনুযায়ী, কিছু রাজনেতাদের সাহাজ্যে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারেরা জনকল্যাণমূলক আর উন্নয়নের প্রকল্পের অর্থ নয়-ছয় করছে। সুত্র জানায় যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পুলিশ আর পুলিশ আর প্রশাসনকে আলগাঁওবাদী নেতা আর তাঁদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
Bangla News

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1