দশ হাজারেরও বেশি মিথ্যা বলেছেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প! কাশ্মীর নিয়ে অকাট্য মন্তব্য এই প্রথম না বাংলা সংবাদ

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) সোমবার কাশ্মীর নিয়ে দায়িত্বহীন বক্তব্য করেছেন। উনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইমরান খান (Imran Khan) এর সাথে সাক্ষাতের পর বলেন, নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে মধ্যস্থতা করার জন্য ওনাকে বলেছেন।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ভারত সরকার আমেরিকার রাষ্ট্রপতির এই বয়ানকে সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করেছে।বাংলা সংবাদ ভারত সরকার জানায়, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু আর এই নিয়ে তৃতীয় কোন রাষ্ট্রের ভূমিকা নেই। আরেকদিনে দুই দেশের রাজনেতাদের সাক্ষাৎ এর পর হোয়াইট হাউস থেকে করা প্রেস কনফারেন্সের পর জারি বিজ্ঞপ্তিতে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কিছুই বলা হয়নি। হোয়াইট হাউস জানায়, আমরা শান্তি, স্থিরতা আর আর্থিক সমৃদ্ধির জন্য পাকিস্তানের সাথে কাজ করতে চাই।
এটা প্রথমবার না যে, ট্রাম্প মিথ্যা কথা বলল। তিনি প্রায় দিনই আলাদা আলাদা মামলায় নানারকম মিথ্যা কথা বলেন। ওয়াশিংটন পোস্টের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প রোজ ২৩ টা করে মিথ্যা কথা বলে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ৮২৮ দিনে ট্রাম্প ১০,১১১ টি মিথ্যা কথা বলেছে। এই দাবিতে ট্রাম্পের ট্যুইটার পোস্টও আছে। অবাক করা কথা হল, শুধু তিনদিন (২৫-২৭ এপ্রিল) ট্রাম্প ১৭১ বার মিথ্যা কথা বলেছে আর মানুষকে ধোঁয়াশায় রেখছে।
এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট ট্রাম্পের কার্যভার সামলানোর দুই বছর পর একটি রিপোর্ট জারি করেছিল। যেখানে বলা হয়েছিল যে, ট্রাম্প ওই দুই বছরে ৮,১৫৮ বার মিথ্যা কথা বলেছে। ট্রাম্প Immigration নিয়ে ১৪৩৩, বিদেশ নীতি নিয়ে ৯০০, ব্যাবসা নিয়ে ৮৫৪, অর্থব্যাবস্থা নিয়ে ৭৯০, চাকরি নিয়ে ৭৫৫ এবং অনান্য ব্যাপারে ৮৯৯ বার মিথ্যা কথা বলেছেন।
সংবাদ মাধ্যমের এই রিপোর্টে ‘ফ্যাক্ট চেকার’ এর তথ্যাদি উদ্ধৃত করা হয়েছে। এই ফ্যাক্ট চেকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বারা প্রদত্ত প্রতিটি সন্দেহজনক বিবৃতি বিশ্লেষণ, শ্রেণীকরণ এবং সনাক্তকরণ কাজ করে।



Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1