প্রধানমন্ত্রী মোদী পেলেন “গ্লোবাল গোলকিপার” পুরস্কার! বিশ্বমঞ্চে ভারত হলো সম্মানিত।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ এর জন্য ‘গ্লোবাল গোলকিপার অ্যাওয়ার্ড’ (Global goalkeeper award) প্রদান করা হয়েছে। মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই সম্মান প্রদান করেন। বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রবর্তিত এই পুরষ্কার দারিদ্র্য এবং বৈষম্যকে লড়াই করার জন্য অবদানের ভিত্তিতে তৈরি। পুরষ্কারটি এই ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে নেতাদের একত্রিত করার চেষ্টা করে। ফাউন্ডেশন ভারতের ৫০ কোটিরও বেশি লোককে স্যানিটেশন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে গোলকিপার গ্লোবাল গোলস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত গ্লোবাল গোলকিপার অ্যাওয়ার্ড  এমন এক  বিশেষ সম্মান যেটা বিশেষ রাজনেতাকে দেওয়া হয়। এটা সেই সব নেতাকেই দেওয়া হল যারা বিশ্ব পরিবর্তনে বড়ো ভূমিকা পালন করছেন।

যিনি বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে দেশে বা বিশ্বব্যাপী চিত্তাকর্ষক নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন। পুরষ্কার গ্রহণ করে মোদী বলেছিলেন যে তিনি এই সম্মানটি কোটি কোটি ভারতীয়দের সাথে ভাগ করেছেন যারা পরিচ্ছন্নতা মিশনের সাফল্যে অবদান রেখেছেন। ২০১৪ সালের অক্টোবরে, মহাত্মা গান্ধীর দেড়শতম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বারা স্বচ্ছ ভারত মিশন চালু করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারত স্বচ্ছ ভারত অভিযানে বড়ো সফলতা পাচ্ছে যার জন্যেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ভারতের মানুষের জনসচেতনতা বৃদ্ধি হচ্ছে। জনিয়ে দি, ভারত সরকার এবার প্লাস্টিক ব্যাবহার এবং জল সংরক্ষন এর উপর জোর দেওয়া উপর জোর দিয়েছে। সরকারের এই প্রত্যেকটি পরিবেশ রক্ষা ও সমাজের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারত সরকারের এই বহুল প্রতীক্ষিত মিশনের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কাছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব আনয়ন, এটি তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হিসাবে তৈরি করা। এই অভিযানটি সলিটিকেশন উন্নতির জন্য এবং কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গ্রামগুলিকে উন্মুক্ত মলত্যাগমুক্ত করার চেষ্টা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই মিশনের প্রশংসা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার প্রতিবেদনে বলেছিল যে এই মিশন তিন লাখ মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে। মোদী সরকার গান্ধীজির পরিষ্কার ভারতের স্বপ্নকে উপলব্ধি করে এই প্রচার শুরু করেছিল।

ei samay

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1