ইজরায়েলবাসী ভারতীয় সেনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পালন করলো হাইফা দিবস! ইতিহাস বইতে পড়ানো হয় না সেনার এই বীরত্ব।


ভারতে ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক বাবর, আকবর, ইংরেজ, গান্ধী, নেহেরু এসেই শেষ হয়ে যায়। ভারতের ইতিহাস বইয়ের অবস্থা এমন যে, বেশিরভাগ ভারতীয় ভাবে মুঘলরা আসার পর ইংরাজরা চলে এসেছে। মাঝে সময়ে কিভাবে ভারতের হিন্দু রাজার মুঘল শাসন কিভাবে শেষ করেছিল তা বেশিরভাগ ভারতীয় জানে না। এছাড়াও ইংরেজদের তাড়িয়ে দেওয়ার ইতিহাসও পরিষ্কারভাবে লেখা নেই ভারতের পাঠ্যপুস্তকে। আসলে ভারতীয়দের ইতিহাস রামায়ণ মহাভারত থেকে শুরু হয়। কিন্তু অনেকে তো এখন রামায়ণ মহাভারতকে কাল্পনিক বলে কটাক্ষ করে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে রামায়ণ ও মহাভারতের নান প্রমান পাওয়ার পর বহু জনের মুখ চুপ হয়েছে। নাহলে ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে ভারতীয়দের কাপুরুষ বানিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র যুগ যুগ থেকে চলছে।

গতকাল ২৩ শে সেপ্টেম্বর পুরো ইজরায়েল দেশ ভারতের সেনাকে সন্মান জানালো। ভারতের সেনার বীরত্বকে স্মরণ করলো পুরো ইজরায়েল দেশ। কিন্তু বেশিরভাগ ভারতীয় সেই বিষয়ে কিছু জানেই না। অবশ্য এক্ষেত্রে দোষ সাধারন ভারতীয়র নয়। দোষ ভারতের দালাল ইতিহাসবিদ। জানিয়ে দি, কাল ইজরায়েল হাইফা দিবস (HAIFA DAY) পালন করেছে। ইজরায়েলের হাইফা শহরকে স্বাধীন করার জন্য ভারতীয় সেনারা বলিদান দিয়েছিল। যেটাকে প্রতি ২৩ শে সেপ্টেম্বর স্মরণ করে ইজরায়েলবাসী।

২৩ শে সেপ্টেম্বরের দিন পুরো ইজরায়েল দেশ ভারতীয় সেনাকে প্রনাম জানাই। ভারতের ইতিহাস বইতে হাইফা দিবস নিয়ে লেখা না থাকলেও, ইজরায়েল এর পাঠ্যপুস্তকে হাইফা দিবস নিয়ে প্রত্যেক শ্রেণীতে পড়ানো হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনা হাইফা শহরকে স্বাধীন করেছিল। ইজারেল এর প্রমুখ শহর হাইফাকে তুর্ক ও জার্মানির হাত থেকে মুক্ত করেছিল ভারতীয় সেনা। বলা হয় এখান থেকেই ইজরায়েল এর স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল।


ভারতীয় সৈন্যরা বর্শা, তরোয়াল এবং ঘোড়ার সাহায্যে জার্মান-তুর্কির মেশিনগানে সজ্জিত সেনাবাহিনীকে হারিয়ে হাইফা শহর মুক্ত করেছিল। ১৯১৮ সালের এই যুদ্ধে ৪৪ জন ভারতীয় সেনা বলিদান হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী জুলাই ২০১৭ সালে ইজরায়েলের ঐতিহাসিক সফরের শেষ দিনে হাইফা শহরে ভারতীয় বলিদানি সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। তবে এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় যে দেশ স্বাধীন হলেও ইতিহাস পরাধীনতা দলদাসের মতো পড়ানো হয় ভারতীয়দের। যেখানে ব্যাপক পরিবর্তন এর প্রয়োজন রয়েছে যা থেকে সমাজ অনুপ্রেরণা গ্রহণ করতে পারে।

ei samay patrika

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1