বায়ু সেনাতে হাই এলার্ট জারি! জইশ আতঙ্কবাদীরা করতে পারে হামলা।

কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান আর কোনো দেশের থেকে সমর্থন পাবে না, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। কারণ আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আতঙ্কবাদের ধর্ম খুঁজে পেয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি ইসলামিক আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার ঘোষনা করে দিয়েছেন। তাই পাকিস্তান এবার পুরো উত্তেজিত হয়ে পড়েছে। এখন পাকিস্তান ভারতে আতঙ্কবাদ অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টায় লেগে পড়েছে। পাকিস্তান তার ঘৃণ্য আচরণ করেই চলেছে। ইন্টিলিজেন্সদের পক্ষ থেকে খবর পাওয়া গেছে যে  জইশ-ই-মোহাম্মদের আতঙ্কবাদীরা জম্মু কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের বিমানবন্দরগুলিতে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছে। যার পরে বায়ু সেনার পক্ষের হাই এলার্টে করে দেওয়া হয়েছে।  ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি গুলি হুঁশিয়ারি জারি করেছে যে জয়শ-ই-মোহাম্মদের ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী জম্মু  কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের অঞ্চলে আত্মঘাতি হামলা করার চেষ্টা করতে পারে।

সতর্কতামূলক হিসাবে ভারতীয় বিমানবাহিনী তার শ্রীনগর, অবন্তীপুর, জম্মু, পাঠানকোট এবং হিননের বিমানবন্দরগুলিকে এলার্ট করে দিয়েছে। বিমান বাহিনী একটি ‘অরেঞ্জ এলার্ট’ জারি করেছে এবং সিনিয়ার অফিসারদের তাদের জায়গার  সুরক্ষা ব্যবস্থার দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। রেড অ্যালার্টের পরে অরেঞ্জ এলার্ট হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম এলার্ট। এই অরেঞ্জ এলার্ট পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা কেন্দ্রকে লিখিত  চিঠির পরে জারি করা হয়েছিল।

যার পরে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বলেন যে ড্রোন দিয়ে পাকিস্তান, পাঞ্জাবের বোর্ডার অঞ্চলগুলিতে হাতিয়ার পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এর পরে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের চিঠিটির সম্পর্কে কথা বলার সময় বলেন যে, “জাতীয় সুরক্ষার জন্য যে কোনও চ্যালেঞ্জই থাকুক না কেন, আমাদের জোয়ানরা তাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা এবং তাদের পরাস্ত করতে সক্ষম, সে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী বা নৌবাহিনী হোক না কেন।”

দুদিন আগে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন যে বালাকোটে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ক্যাম্প গুলি  আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা আবার ভারতে সন্ত্রাসী হামলা করার চেষ্টা করতে পারে। এই ঘাঁটিগুলিকে  ফেব্রুয়ারিতেই ভারতীয় বিমানবাহিনী ধ্বংস করেছিল। ভারতে ৫ আগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান ভারতের উপর বার বার চাপ সৃষ্টি করার জন্য লেগে পড়েছে। কিন্তু কোনোভাবে লাভ না পেয়ে এখন ভারতে আতঙ্কবাদী অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে।
anandabazar patrika

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1