একদিকে ইরান অন্যদিকে ভারত, আমার স্থানে অন্য কেউ থাকলে হার্ট এট্যাক চলে আসতো: ইমরান খান।

জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখন আত্মসমর্পণ করেছেন। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যে আমরা ভারতকে আক্রমণ করতে পারি না। কর্মসূচির সময় ইমরান খান আরও একটি বিষয় স্বীকার করে বলেছিলেন যে তিনি এই মুহুর্তে খুব কঠিন এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। অন্য কেউ যদি তার জায়গায় থাকতেন তাহলে তার হার্ট এট্যাক হতো বলে মত ইমরান খানের। ইমরান খান নিউইয়র্কের কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশনসের একটি প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। এই প্রোগ্রামে ইমরানকে পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।

এর সাথে, তিনি চীনের উইগুর মুসলিমদের সাথে হওয়া অত্যাচার সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তবে জবাব দেওয়ার সময় ইমরান খান চীন ইস্যুতে কিছু না বলে বিশ্ববাসীর সামনে নিজের ব্যথা বলতে শুরু করেন। কাউন্সিলর অফ ফরেন রিলেশনস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড হাস ইমরান খানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “আপনি যদি চীন সম্পর্কে কথা বলেন, তবে আপনি কি জানেন যে তারা এই মুহূর্তে উইগার মুসলমানদের সাথে কী করছে?”
এর জবাবে ইমরান খান বলেছিলেন, “আমরা যদি চীন সম্পর্কে কথা বলি তবে তাদের সাথে আমাদের দুর্দান্ত সম্পর্ক রয়েছে এবং আমাদের যদি কিছু কথা বলতে হয়, আমরা বিষয়গুলিতে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করি।

১৩ মাস আগে যে ব্যক্তি পাকিস্তানের ক্ষমতায় এসেছে সে সম্পর্কে যদি আপনি কথা বলেন তাহলে বুঝবে অবস্থা কেমন। ইমরান আরো বলেন, দেশ অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হচ্ছে। আমাদের একদিকে আফগানিস্তান, ইরান, সৌদি আরবের দিকে নজর দিতে হচ্ছে এবং আমেরিকাও রয়েছে। সীমান্তে এখন ইরানের সাথে একটি ইস্যু রয়েছে, আফগানিস্তানও আছে এবং ভারতের সাথে সম্পর্ক কিছুই ভাল চলছে না। ‘ ইমরান খান মন খুলে নিজের ব্যাক্তিগত সমস্যা ও দেশ নিয়ে তার উপর থাকা চাপের কথা ব্যাক্ত করেন।

চীনে উইগুর মুসলিমদের উপর যে অত্যাচার চলছে সেটাকে এড়িয়ে যান ইমরান খান। উল্টে উনি নিজের দেশের উপর অন্য দেশের চাপ ও আর্থিক মন্দার কথা তুলে ধরেন। জানিয়ে দি, পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্কের কাছে মাত্র ৭.২৮৯ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। অন্যদিকে ২০২০ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার লোন মেটাতে হবে। সোজা ভাষায় ঘর চালানোর জন্য প্রয়োজন ১৮ টাকা কিন্তু পকেটে আছে মাত্র ৭ টাকা। অর্থশাস্ত্রীদের মতে যদি পাকিস্তান বড়ো কোনো ইন্টারন্যাশনাল বেল আউট প্যাকেজ না পায় তবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে যাবে।

bartaman patrika

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1