ইমরান খানের সাথে বৈঠকে ট্রাম্প করে দিলেন ভারতের প্রশংসা! লজ্জায় পড়লেন ইমরান খান।


HOWDI MODI অনুষ্ঠানে ইসলামিক আতঙ্কবাদ শব্দের ব্যাবহার করে পাকিস্তানকে আগেই বড়ো ঝটকা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আতঙ্কবাদের ধর্ম খুঁজে বের করার পর এখন আরো একবার পাকিস্তানের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পাকিস্তান ক্রমাগত আন্তর্জাতিক ফোরামে জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করছে এবং আমেরিকার সামনে সবচেয়ে বেশি উত্থাপন করছে। তবে প্রতিবারই ইমরান খানের আশা ঝটকা খায়। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার পাকিস্তানকে একটা ঝটকা দিয়েছেন। ট্রাম্প এর সাথে বৈঠক করতে গিয়ে ইমরান খান পাল্টা ঝটকা খেয়েছেন।

ট্রাম্প ইমরানের সামনে নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন এবং ভারতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ককে দারুন বলে বর্ণনা করেন। নিউইয়র্কে ইমরান খানের সাথে দেখা করার পরে যখন সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইমরানের সামনে এমন অনেক কিছুই বলেছিলেন যা পাকিস্তানের জন্য কাঁটা লাগার মতো ছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন যে ভারতের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে, আশা করি উভয় দেশ একত্রিত হবে। আমি পাকিস্তানের উপর বিশ্বাস করি যে তারা সব ঠিকই করবে কিন্তু যারা সামনে বসে আছেন (পাকিস্তানি মিডিয়া) তারাই পাকিস্তানকে বিশ্বাস করে না।

মার্কিন রাষ্ট্রপতি ‘হাওডি মোদি’ তে নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন যে নরেন্দ্র মোদী ৩৭০ অনুচ্ছেদের উপর আক্রমণাত্মক বক্তৃতা দিয়েছেন, আর লোকেরাও সেটাকে অনেক পছন্দ করেছে। সেখানে বসে থাকা লোকেরা তাঁকে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিল। শুধু এই নয় HOWDI MODI অনুষ্ঠানে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি ইসলামিক আতঙ্কবাদ এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে আছি।

এখন এটা স্পষ্ট যে, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের যেটা শেষ আশা ছিল, তার সমাপ্তি ঘটেছে। NATO দেশগুলির থেকে পাকিস্তানের আসা শেষ হয়ে গেছে। এবার সোমালিয়া ছাড়া পাকিস্তানের পাশে কেউ দাঁড়াবে বলে আশা নেই। অন্যদিকে উগ্র ইসলামিক আতঙ্কবাদ শব্দের ব্যাবহার করে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আতঙ্কবাদের ধর্ম খুঁজে নিয়েছেন। যা বহু দশক থেকে বুদ্ধিজীবী ও দালাল সাংবাদিকগণ খুঁজে পেতেন না। ট্রাম্প এর এখন ভোটের প্রয়োজন তাই ভারতীয় আমেরিকানদের খুশি করতে উনি পিছুপা হবেন না এটা সকলের জানা। তবে পরে পল্টি খেলেও এখন এত বড়ো মঞ্চ থেকে বিশ্বে যা সঙ্কেত যাওয়ার ছিল তা চলেই গেছে।

Bartaman Patrika

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1