রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে জরুরি বৈঠক করতে পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী


সাত দিনের সফরে আমেরিকায় গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ওনাকে জোরদার স্বাগত জানানো হয়। ওনাকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা। ওনার জন্য বিছানো হয়েছিল রেড কার্পেট। আরেকদিকে, সেই দিনই আমেরিকায় পৌঁছান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু ওনাকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমান বন্দরে আমেরিকার তরফ থেকে কেউই উপস্থিত ছিলেন না। শেষমেশ ওনাকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে পৌঁছান সংযুক্ত রাষ্ট্রের পাকিস্তানের প্রতিনিধি। এমনকি ওনার জন্য রেড কার্পেটের যায়গায় বিছানো হয়েছিল একটি মাত্র ডোর ম্যাট।

এর আগেও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন আমেরিকায় গেছিলেন, তখনও ওনাকে স্বাগত জানানোর জন্য আমেরিকার কোন রাজনেতা বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি শেষমেশ ওনাকে মেট্রো ধরে পাকিস্তানের রাজদূত এর আবাসে যেতে হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে স্বাগত জানানোর স্টাইলই বলে দিচ্ছে যে, বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশ আমেরিকার কাছে ভারতের গুরুত্ব কতটা।

এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিউস্টনে ‘হাউডি মোদী” অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানেও ওনাকে স্বাগত জানানোর জন্য তৈরি থাকেন বহু প্রবাসী ভারতীয়রা। ভারতের যেকোন প্রধানমন্ত্রীর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এরকম আয়োজন এর আগে কোনদিনও দেখা যায়নি। আর ওনার এই অনুষ্ঠান ঘিরে যেই উন্মাদনা ছিল, সেতায় প্রমাণ হয় যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা শুধু ভারতেই না, গোটা বিশ্বে আছে।

রবিবার হিউস্টনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাউডি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার দুই দিন পর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আর নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সংযুক্ত রাষ্ট্রের ৭৪ তম অধিবেশনে এই বৈঠকে হবে দুই দেশের রাজনেতাদের মধ্যে। আর এই বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিউ ইউর্ক পৌঁছান। ভারতীয় সময় রাত ১০ টা নাগাদ সংযুক্ত রাষ্ট্রের প্রধান অফিসে দুই দেশের রাষ্ট্র নেতাদের মধ্যে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে।

এবেলা

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1