প্রধানমন্ত্রী মোদী আর NSA অজিত দোভালকে হত্যার জন্য, জঙ্গিদের বিশেষ করে ট্রেনিং দিচ্ছে জইশ-এ-মোহম্মদ


জম্মু কাশ্মীর থেকে কেন্দ্র সরকার ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকেই উপত্যকায় জঙ্গি গতিবিধির উপর লাগাম লাগানো সম্ভব হয়েছে। উপত্যকার পরিস্থিতি বদলের জন্য পাকিস্তান এবং পাক সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন গুলো ভারতের উপর চরম তেঁতে রয়েছে। আর সেই কারণেই এবার পাক সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন জইশ এ মোহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আর জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের (Ajit Doval) উপরে হামলার ছক কষছে। আর এর জন্য তাঁরা বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত জঙ্গিদের তৈরি করছে। বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার থেকে পাওয়া ইনপুট অনুযায়ী, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর এক মেজর এই হামলার জন্য লাগাতার প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে।

বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা জইশ এর পাকিস্তানি জঙ্গি শামসের ওয়ানি আর জইশ এর প্রধান মাসুদ আজাহারের মধ্যে গোপন কথাবার্তার খবর পেয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জইশ এ মোহম্মদ এর জঙ্গিরা সেপ্টেম্বর মাসেই ভারতের বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক কষছে। আর তাঁদের প্রধান টার্গেট হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাতীয় নিরপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আসা ইনপুট অনুযায়ী, জইশ এর জঙ্গিরা জম্মু,অমৃতসর, পাঠানকোট, জয়পুর, কানপুর, লখনউ আর দিল্লী সমেত মোট ৩০ শহরকে নিশানা বানাতে পারে। ইনপুট পাওয়ার পর, এই সমস্ত শহর গুলোতে বেশি সংখ্যক পুলিশকে সক্রিয় করে দিয়েছে প্রশাসন। বিদেশী এজেন্সি থেকে পাওয়া খবরের পর অজিত দোভালের সুরক্ষা ব্যাবস্থার সমীক্ষা করা হয়েছে।

শোনা যাচ্ছে যে, অজিত দোভাল যেভাবে উরি জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান সীমান্তের ভিতরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক আর পুলওয়ামা হামলার পর এয়ার স্ট্রাইকের রণনীতি তৈরি করেছিল, এরপর থেকেই পাকিস্তানে বসে থাকা জঙ্গি সংগঠন ওনাকে মারার চেষ্টা করে চলেছে।

eisamay

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1