অযোধ্যা মামলায় পুনর্বিচারের আবেদন নিয়ে দুভাগে বিভক্ত হল মুসলিম ল বোর্ড, সংঘাত এড়াতে সরানো হল বৈঠক!

লখনউঃ অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুনর্বিচার আবেদন দাখিল করা নিয়ে মুসলিম পক্ষের বৈঠক হচ্ছে। ebela মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (AIMPLB) এই বৈঠক সম্পন্ন হলেই, অযোধ্যা মামলায় পুনর্বিচারের আবেদন দাখিল হবে কি না, সেটা নিয়ে ঘোষণা হবে। যদিও AIMPLB এখন পুনর্বিচারের আবেদন দাখিল করা নিয়ে দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। AIMPLB কিছু সদস্য চাইছে যে, এই মামলা আবারও আদালতে তোলা হোক। আবার কিছু সদস্য চাইছে যে, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলা উচিত।

এর আগে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের বৈঠকের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছিল। এই বৈঠক প্রথমে নদবা কলেজে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সদস্যেরা একে একে জড় হওয়ার পর আচমকাই AIMPLB মিটিং এর জায়গা বদলে দেয়। এখন বৈঠক নদবা কলেজে না হয়ে, মুমতাজ পিজি কলেজে হচ্ছে। এই বৈঠক নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের একমাত্র মুসলিম মন্ত্রী মোহসিন রাজা প্রশ্ন তুলেছেন।

শোনা যাচ্ছে যে, মন্দির মামলায় উদার মনোভাব রাখা নাদবা কলেজের প্রোফেসর সালমান নদবির কারণেই AIMPLB বৈঠকের স্থান পালটে দেয়। নদবি সমেত অনেক কয়েকজন মুসলিম বুদ্ধিজীবী AIMPLB এর সদস্য, তাঁরা এই মামলা আবার আদালতে না নিয়ে যাওয়ার পক্ষে। এই বুদ্ধিজীবীদের অনুযায়ী, অনেকদিন আগেই মুসলিমদের ওই জমি হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল।

শোনা যাচ্ছে যে, যদি নাদবা কলেজে এই বৈঠক হত, তাহলে প্রফেশর সালমান নদবির সমর্থকেরা হাঙ্গামা করতে পারত। আর এই কারণে বৈঠক সরিয়ে নিয়ে মুমতাজ কলেজে রাখা হয়েছে। সাংসদ ওয়াইসি এই মামলায় কট্টর মনোভাব আপন করে নিয়েছেন। আরেকদিকে প্রফেসর সালমান নদবি সমেত অনেক কয়েকজন সদস্য উদার মনোভাব দেখাচ্ছেন।

তাঁরা এই মামলায় আগামী দিনে কোন পদক্ষেপ নিতে চাইছে না। তাঁরা চাইছে যে, সুপ্রিম কোর্ট যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটাকেই স্বীকার করে এগিয়ে যাওয়া হোক। মুমুতাজ কলেজ মুসলিম পক্ষের আইনিজিবি জফরইয়াব জিলানির। উনি সিদ্ধান্তের দিনই বলে দিয়েছিলেন যে, আমরা এই মামলায় সন্তুষ্ট না, আর পুনর্বিচারের আবেদন দাখিল করতে ইচ্ছুক।



from India Rag https://ift.tt/2QskHGD

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1