বড় খবরঃ ১৫ জন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে

ওয়েব ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্ট থেকে উপ নির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ১৭ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। কর্ণাটকের বিজেপির হেড কোয়ার্টারে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই বিক্ষুব্ধ sangbad pratidin বিধায়কেরা দলে যোগ দেন। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের হাতে পতাকা তুলে দেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা এবং কর্ণাটক বিজেপির সভাপতি নলিন কুমার।  আগামী পাঁচ ডিসেম্বর ১৫ টি আসনে উপ নির্বাচন হতে চলেছে কর্ণাটকে। আর সেই উপ নির্বাচনে বিজেপি ১৩ জন প্রাক্তন বিধায়ককে টিকিট দিয়েছে।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, বুধবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা শীর্ষ আদালত দ্বারা বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের উপ নির্বাচনে লড়ার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা আশ্বাস দেন যে, ভারতীয় জনতা পার্টি পাঁচ ডিসেম্বরে হওয়া উপ নির্বাচনে সমস্ত ১৫ টি আসনেই জয়লাভ করবে। উনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এর সিদ্ধান্ত প্রাক্তন বিধানসভার স্পীকার আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিধারামাইয়ার বিরুদ্ধে এসেছে।

সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর অযোগ্য ঘোষণা হওয়া সমস্ত বিধায়ক খুশি জাহির করেন। জেডিএস এর বিধায়ক বিশ্বনাথ বলে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য খুব জরুরি ছিল। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। জেডিএস এর বিধায়ক বিশ্বনাথ ছাড়াও বাকি বিধায়কেরাও এই সিদ্ধান্তে নিজেদের খুশি জাহির করেন। এবং তাঁরা সবাই আগামী নির্বাচনে জয়ের দাবিও করেছেন।

বর্তমানে কর্ণাটক বিধানসভায় ২০৭ জন বিধায়ক আছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য চাই ১০৪ জন বিধায়ক। বিজেপির কাছে আছে ১০৬ জন বিধায়ক। আর জেডিএস এর কাছে ৩৪ জন বিধায়ক। এবং কংগ্রেসের কাছে ৬৬ জন বিধায়ক। কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট করে কর্ণাটকে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু ১৪ মাস সরকার চলার পর জেডিএস এর নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী জোট ভেঙে দেন।



from India Rag https://ift.tt/2OmxRm6

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1