রামমন্দির নির্মাণ ট্রাস্টের সভাপতি পদে যোগী আদিত্যনাথকে রাখার দাবি! ট্রাস্টের নেতৃত্বেই হবে মন্দির নির্মাণ।

আদালত অযোধ্যা মামলায় রায় দিয়েছে, রায় অনুযায়ী  কেন্দ্রকে একটা ট্রাস্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই ট্রাস্ট এর নেতৃত্বে তৈরি হবে রাম মন্দির। রাম জন্মভূমি নিয়াস বলেছেন যে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের নেতৃত্ব থাকা pratidin ট্রাস্টের দায়িত্ব উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে রাখা উচিত। ট্রাস্ট বলেছে যে আদিত্যনাথের উচিত মুখ্যমন্ত্রী নয়, গোরক্ষ পীঠের মহন্ত হিসাবে ট্রাস্টের সভাপতিত্ব করা উচিত। নিয়াস চেয়ারম্যান মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস বলেছেন, “রাম জন্মভূমি নিয়াস চান যোগীরা আদিত্যনাথ ট্রাস্টের প্রধান হন।

গোরক্ষপুরের প্রতিমূর্তিযুক্ত গোরক্ষনাথ মন্দিরটি গোরক্ষপীঠের অন্তর্গত এবং রাম মন্দির আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মহন্ত দিগ্বিজয় নাথ, মহন্ত অবৈদ্যনাথ এবং এখন যোগী আদিত্যনাথ মন্দির আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন। তিনি বলেন যে প্রস্তাবিত ট্রাস্ট এ নিয়াস মূল ভূমিকা নেবে। তিনি অবশ্য বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করেননি। তিনি বলেন, “ট্রাস্টের অন্য সদস্যদের মধ্যে চম্পাত রায় (বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহ-সভাপতি) এবং ওম প্রকাশ সিংহল (ভিএইচপি কোষাধ্যক্ষ) অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।”

এখন যোগী আদিত্যনাথকে ট্রাস্ট এর মুখ্য ভূমিকায় রাখার জন্য তীব্র দাবি উঠছে। জানিয়ে দি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজনীতিতে আসার পেছনে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো রাম মন্দির। যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার আগেই বলেছিলেন যে তার জীবনে একটা বড়ো উদেশ্য হলো রাম মন্দির নির্মাণ। যোগী আদিত্যনাথের গুরুদেবও রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সংঘর্ষ করেছিলেন। আর যোগী আদিত্যনাথও সেই পথেই নেমেছিলেন। যোগী আদিত্যনাথ একজন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সাথে সাথে একজন যোগী সন্ন্যাসী। উনি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের এক সভায় বলেছিলেন যদি আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে তবে রাম মন্দির হওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকবে না।


from India Rag https://ift.tt/2XqPZ20

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1