৪০ হাজার সেনা আর ৪৫০ টি ট্যাঙ্ক নিয়ে পাক সীমান্তে নামল ভারতীয় সেনা

জয়সলমেরঃ  পাকিস্তান দুনিয়া জুড়ে ঘুরে ঘুরে ভারতকে একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছে, কিন্তু তাঁরা ভালো করে জানে যে, ভারতীয় সেনার ক্ষমতার কাছে তাঁদের সেনা কিছুই না। আর সেই ক্রমেই ভারতীয় সেনা নিজের মারক ক্ষমতাকে মজবুত abp ananda live tv  করার আরও একটি উদাহরণ পেশ করে ‘সুদর্শন শক্তি” অভ্যাস শুরু করে দিলো। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনার এমন কিছু যুদ্ধ রণনীতি বাস্তবায়িত করার চেষ্টা জয়সলমের এর মরুভূমিতে করা হচ্ছে। জয়সলমের এর ভারতীয় সেনা বিশেষ ভাবে যুদ্ধ অভ্যাস করছে। এই যুদ্ধ অভ্যাসে বেশিরভাগই আধুনিক হাতিয়ার ব্যাবহার করা হচ্ছে।

পাকিস্তান বর্ডারের মরুভূমিতে চলা এই যুদ্ধ অভ্যাসের নাম ‘সুদর্শন শক্তি” দেওয়া হয়েছে। এটি এই যুদ্ধ অভ্যাসের দ্বিতীয় পার্ট। বৃহস্পতিবার বার থেকেই এই যুদ্ধ অভ্যাস শুরু করেছে সেনা। আগামী ৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই অভ্যাস। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, এই যুদ্ধ অভ্যাসের বায়ুসেনাও অংশ নিয়েছে।

শত্রুপক্ষকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য ৪০ হাজারের বেশি সৈনিক এবং ৪৫০ টি ট্যাঙ্ক এই যুদ্ধ অভ্যাসে অংশ নিয়েছে। এই যুদ্ধ অভ্যাসে প্রথমবার ভারতে নির্মিত কে-৯ বজ্র ট্যাঙ্ক নিজের জোরদার ক্ষমতা প্রদর্শন করছে। এই ট্যাঙ্ককে কিছুদিন আগেই ভারতীয় সেনায় যুক্ত করা হয়েছে। এটি ভারতীয় সেনায় সবথেকে বেশি দূরত্বে আঘাত হানা মিসাইল বলে গণ্য হয়েছে। এই ট্যাঙ্ক নিজের ক্ষমতা জাহির করার জন্য কৃত্রিম শত্রু ঘাঁটি গুলোতে অভেদ্য নিশানা বানিয়ে গোটা মরুভূমিতে হাহাকার সৃষ্টি করে দিয়েছে।

শুক্রবার এই অভ্যাসকে রিভিউ করার জন্য ২১ কপ এর জি.সি.ও লেফটিনেন্ট যোগেন্দ্র ডিমরি উপস্থিত ছিলেন। এই যুদ্ধ অভ্যাসের দ্বিতীয় পার্টের অন্তিম ভাগ জয়সলমের এর পোখরাণ ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই যুদ্ধ অভ্যাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্থল সেনা প্রধান এবং অন্যান্য সেনা এবং বায়ুসেনা উচ্চ পদস্থ অফিসারেরা উপস্থিত থাকবেন।



from India Rag https://ift.tt/2XruTAB

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1