২০০০ কিমি পর্যন্ত মারক ক্ষমতা সম্পন্ন অগ্নি-২ নিউক্লিয়ার মিসাইলের সফল পরীক্ষণ করল ভারত

চাঁদিপুরঃ ভারত দুই হাজার কিমি পর্যন্ত মারক ক্ষমতা সম্পন্ন অগ্নি – ২ ব্যালাস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষণ করল উড়িষ্যার বালাসোরে abp ananda । রাত্রির বেলায় মারক ক্ষমতা পরীক্ষায় এই মিসাইল সফল হয়েছে। প্রতিরক্ষা সুত্র অনুযায়ী, মাটি থেকে মাটিতে নিশানা ধ্বংস করা এই মিসাইলের সফল পরীক্ষণ উড়িষ্যার চাঁদিপুর রেঞ্জ থেকে করা হয়েছে।

অগ্নি – ২ মিসাইলের সফল পরীক্ষণ গত বছরেই করা হয়েছিল, কিন্তু রাতের অন্ধকারে এই মারক মিসাইলের পরীক্ষণ প্রথমবার হল। এই মিসাইলের মারক ক্ষমতা দুই হাজার কিমি থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার কিমি পর্যন্ত করা যেতে পারে। অগ্নি – ২ মিসাইল নিউক্লিয়ার হাতিয়ার নিয়ে যেতে সম্পূর্ণ ভাবে সক্ষম।

ভারত এর আগে এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বদেশী অগ্নি – ১ ব্যালাস্টিক মিসাইলের পরীক্ষণ করেছিল। ভারতীয় সেনা সামরিক সেনা কম্যান্ড বালাসোরের আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে ইন্ট্রিগ্রেড টেস্ট রেঞ্জ লঞ্চ প্যাড ৪ থেকে ৭০০ কিমি দূর পর্যন্ত মারক ক্ষমতা সম্পন্ন অগ্নি – ১ মিসাইলের সফল পরীক্ষণ করেছিল।
২০ মিটার লম্বা অগ্নি – ২ ব্যালাস্টিক মিসাইল এর ওজন ১৭ টনের মতো। আর এই মিসাইল নিজের সাথে এক হাজার কেজির বোমা ২০০০ কিমি পর্যন্ত বহন করতে পারে। অগ্নি – ২ মিসাইলে নিউক্লিয়ার বোমা নিয়ে যেতেও সক্ষম। অগ্নি – ২ মিসাইলকে এর আগেই সেনায় যুক্ত করা হয়েছিল।


from India Rag https://ift.tt/2Qw4L6i

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1