সাত সমুদ্র পার করে পোঁছাল মোদীর উজ্বলা যোজনা, বিদেশের সাথে চুক্তি করল বিশ্ব নেতা ভারত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের (Modi Sarkar) মহত্বকাঙ্খি উজ্বলা যোজনার (Ujjwala Yojana) আওয়াজ এবার আফ্রিকা মহাদেশের ঘানাতেও পৌঁছে গেছে। ঘানা নিজেদের ন্যশানাল এলপিজী প্রোমোশন পলিসিকে প্রভাবি ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতের প্রজুক্তির সাহায্য চেয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এটি নিয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে।

এই চুক্তি অন্তর্গত ভারত ঘানাকে এলপিজির সাথে জড়িত নীতিকে বাস্তবায়িত কোর্টে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে। দিল্লীতে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আর ঘানার হাই কমিশনার মাইকেল এরানের উপস্থিতিতে ইন্ডিয়ান অয়েল ঘানার ন্যাশানাল পেট্রোলিয়াম অথরিটির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
উল্লেখ্য, ঘানা দেখেছে যে ভারত উজ্বলা যোজনার মাধ্যমে একদিকে যেমন আর্থিক দিক থেকে কমজোর মানুষের কাছে দূষণ মুক্ত এলপিজি সিলেন্ডার উপলব্ধ করানোয় সফলতা অর্জন করেছে। আরেকদিকে, সামাজিক, আর্থিক এবং স্বাস্থের সাথে জড়িত অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। আর এই কারণেই আফ্রিকার দেশ পেট্রোলিয়াম এবং গ্যাস ভিত্তিক বৃহত এবং ঐতিহ্যবাহী অর্থনীতির পরিবর্তে, নতুন শক্তি নেতা ভারতের কাছে সহায়তা চেয়েছে।

বিগত কিছু সময়ে ভারত গ্রামীণ এলাকা গুলোতে উজ্বলা আর শহরের এলাকা গুলোতে সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের বিস্তার করে যেভাবে ক্লিন ফুয়েলের দিকে দ্রুত গতিতে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাঁর ফলে বিকাশশীল দেশ গুলোর সামনে ভারত এলপিজি আর পেট্রো টেকনোলোজির নতুন নেতা হয়ে উঠে এসেছে। আর এর ফল স্বরুপ ঘানার আগে রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশ গুলোতে পেট্রোলিয়াম সেক্টরে ভারতের তরফ থেকে করা বিনিয়োগ পরিকল্পনা গুলোকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।




from India Rag https://ift.tt/38HoupG

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1