৩৭০ অপসারণের পর কাশ্মীর ঘাঁটিতে এই প্রথমবার পালিত হলো প্রজাতন্ত্র দিবস! বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলেই করলেন অংশগ্রহণ

৭১ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করেছে পুরো দেশ। উত্তর থেকে দক্ষিণে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করা হয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবস। এই পর্বে কাশ্মীর উপত্যকার লোকেরাও 26 শে জানুয়ারী তিরঙ্গা উত্তোলন করেছেন। Karmasandhan যারা কাশ্মীরের লোকজনকে ভারত থেকে আলাদা রাখতে চাইতেন তাদের গালে সপাটে চড় পড়েছে। স্থানীয়রা এলওসির নিকটবর্তী কুপওয়ারা সহ অন্যান্য স্থানে সেনা কর্মীদের সাথে তিরঙ্গাটি উত্তোলন করেছে। এই সময় স্থানীয় লোকজন বাচ্চাদের মুখে হাসি দেখা মিলেছে।

শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রত্যেকে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে অংশ নিয়েছিল। ভারতীয় সেনার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাশ্মীরের মানুষজন দেশকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের পরে উপত্যকায় এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে।
শনিবার এক সমাবেশ সভায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের পরে প্রথমবারের মতো কাশ্মীরে খোলামেলা মন এবং উদ্দীপনা নিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হবে। এই প্রজাতন্ত্র দিবসে বাচ্চারা ‘Jai hind’, ‘ I love my India’ ইত্যাদি নানা প্লে কার্ড নিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসে সামিল হয়েছিল।সকলের মুখে ছিল দেশপ্রেমমূলক শ্লোগান।

যে কাশ্মীরে এক সময় বাচ্চাদের হাতে পাথর ও মুখে ভারত বিরোধী শ্লোগান শোনা যেত সেই কাশ্মীরে অন্য ছবি দেখা মিললো। কাশ্মীরের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসের যে ছবি সামনের এসেছে তা সকল দেশবাসীকে মনোমুগ্ধ করবে। অনেকে বলেছেন, এবার শুধু তাড়িয়ে দেওয়া কাশ্মীরি পন্ডিতদের ফিরিয়ে আনলেই কাশ্মীর আগের স্বর্গরূপ ফিরে পাবে।



from India Rag https://ift.tt/2NZe4cU

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1