রাম-জন্মভূমির দর্শন করার পর তারিক ফতেহ বললেন, মুসলিম ইউনিভার্সিটি থেকে সরানো হোক জিন্নার ছবি

বিখ্যাত লেখক তারেক ফাতাহ (Tarek Fatah) বলেছেন, মুসলিম মহিলারা NRC, CAA এর বিরোধিতা করছে না। বরং মুসলিম মহিলাদের রাস্তায় বসিয়ে রেখেছেন তাদের স্বামীরা, দাবি তারেক ফাতাহের। উনি আরো বলেছেন, প্রথমে মুসলিম পুরুষরা মহিলাদের বোরখা থেকে বের করুক, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক। ভগবান শ্রী রামের শহর অযোধ্যায় পৌঁছে তারেক ফাতাহ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হিয় একথা বলেন। Bangla Khobor সেখানে তিনি হনুমান গড়ি এবং রাম জন্ম্ভভূমিতে পূজা দেন ও সাধুদের সাথে সাক্ষাত করেন। এরপর সাংবাদিক মহলের মুখোমুখি হতেই কট্টরপন্থীদের উপর আক্রমন শুরু করেন।

তারিক ফতেহ বলেন যে মুসলিম মহিলারা এনআরসি এবং সিএএ-এর বিরোধিতা করছেন না। আসলে তাদের স্বামী তাদের প্রতিবাদে বসিয়েছে। উনি বলেন একদিকে পুরুষরা নিজেদের মা বোনকে বোরখায় বন্দি বানিয়ে রেখেছে অন্যদিকে শহীনবাগে এসে NRC/CAA এর বিরোধিতা করতে বলছে, এটা দ্বিচারিতা।
তারিক ফতেহ বলেন, বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা আসার ফলে মুসলিমরা মনে করছে যে তারা সংখ্যায় কম হয়ে যাবে।বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা হিন্দুরা তাদের জনসংখ্যা কমিয়ে দেবে। হিন্দুরা বাড়লে আমাদের কী হবে? এইরকম একটা ভ্রান্তি ধারণা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

তারিক ফতেহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মের কি কাজ? কি কারণে বিশ্ববিদ্যালয় মুসলিমদের ৫০% সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। মুসলিম ইউনিভার্সিটিগুলি বন্ধ করার দাবিও তোলেন তারিক ফতেহ। উনি বলেন, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিন্নার ছবি সরিয়ে নেওয়া হোক তবেই বুঝবো আপনারা দেশের কাজের। আপনার জিন্নার ছবি সরাতে দেন না, অন্যদিকে NRC/CAA এর বিরোধিতা করেন। রাম মন্দির প্রসঙ্গে মুখ খুলে তিনি বলেন, ভারতে তো মসজিদের অভাব নেই তাহলে কেন মুসলিমদের ৫ একর জমি দেওয়া হবে?



from India Rag https://ift.tt/37skJE5

Comments

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1