করোনাভাইরাস (coronavirus) আতঙ্কে পিছোতে পারে পুরভোট, বৈঠকের পর নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত

শুক্রবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে করোনাভাইরাস (coronavirus) নিয়ে রাজ্যের সকল মানুষকে সচেতন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধহায়। “হাত মেলানোর প্রয়োজন নেই, শুভেচ্ছা বিনিময়ে নমস্কার করুন”। এই সময় মন দিয়ে না ভেবে মাথা দিয়ে ভাবা উচিত নিজেকে বাচাতে আর সুস্থ থাকার জন্য যা করা দরকার তাই তাই করা উচিত। তিনি আরো বলেন “সব মশা কামড়ালেই ডেঙ্গু হয় না।
যেমন সব মাছ ইলিশ নয়, তেমন সমস্ত সর্দি-কাশিই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নয়”।সামনেই পুরভট আর বাংলা নিজের দখলে করতে মরিয়া মা, মাটি, মানুশ। আর এই দলে আবার নাম লিখিয়েছে বিজেপিও। বিজেপিও কম যাচ্ছে না সেও সমান তালে টক্কর দিচ্ছে মমতাকে। কিন্তু এই করোনা আতঙ্কে কার্যত পিছোতে পারে ভোটের মিটিং , মিছিল। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস অতিমারির আকার ধারন করেছে। করোনা আতঙ্কের জেরে সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসা-সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যদিও বাতিল হচ্ছে না উচ্চমাধ্যমিকের কোনো পরীক্ষাই।পাশাপাশি, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ খড়গপুর IIT। নির্দেশিকা মেনে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস এবং পরীক্ষাও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদেরও হোস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছে।চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। আর এই জন্য সোমবার পুরভোটের জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর এই আলোচনায় যোগ  দেবেন সব দলের ২ জন প্রতিনিধি। তারপরেই জানানো হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মারণরোগ করোনা ভাইরাসের (Corona Vairas) প্রকোপ থেকে ভারতীয়দের (Inida) রক্ষা করার জন্য ভারত সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে বাইরের বিভিন্ন দেশ তাকে স্বাগত জানিয়েছে। করোনার প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন দেশ আবার ভারত থেকে সাহায্যও চাইছে। এই পরিস্থতিতে মালদ্বীপ (Maldives) ভারতের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার সাথে সাথেই, ভারত তাঁদেরকে সাহায্য করবার সিদ্ধান্ত নেয়।


করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য ডাক্তার এবং প্যারামেডিক্যাল সদস্যদের নিয়ে ১৪ জনের একটি দল মালদ্বীপে পাঠায়। মালদ্বীপের সরকার ভারতের কাছে চিকিৎসা বিষয়ক সহায়তা চেয়েছিল। তাই ভারত থেকে তাঁদেরকে পাঠানো হয়। এই ১৪ জনের টিম এখন কিছুদিন মালদ্বীপে থেকে সেখানকার মানুষজনের চিকিৎসা করবে।
এয়ারফোর্স এবং নৌবাহিনি থেকে এই টিম প্রস্তুত করে মালদ্বীপে পাঠানো হয়েছে। এরা চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে মালদ্বীপের সহায়তা করবে। করোনা ভাইরাস যেভাবে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, সেভাবেই প্রতিটি দেশ এই রোগের মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই রোগ প্রতিরোধের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় দ্রব্য না থাকার দরুন, এখন বাইরের দেশগুলো ভারত থেকে সাহায্য চাইছে। এমনকি ইজরায়েল (Israel), ইটালি (Italy), ভুটান (Bhutan) এবং ইরানও (Iran) এই ব্যাপারে ভারতের থেকে সাহায্য চেয়েছে।

এই মারণরোগের ফলে সমগ্র বিশ্বের সংযোগ ব্যবস্থা ভীষণ ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এক দেশ থেকে অন্য দেশে নিয়ে যেতেও বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এখন বেশ কিছু চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে সাহায্যপ্রার্থী হয়েছে। আর এই দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য ভারতও যথাযথ ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মালদ্বীপ সাহায্য চাওয়ার সাথে সাথেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) তাঁদের সাহায্য করতে শুরু করে দিয়েছে। তেমনই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ভারতের কাছে সাহায্য চাইলে, ভারতও তাঁদেরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। এর আগে ভারত চীনকেও (Chaina) এই বিষয়ে সাহায্য করেছিল।


from India Rag https://ift.tt/2Wajc2V

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশানাল সিটিজেন রেজিস্টার (NRC) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এরই মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এর মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার গঠন হওয়ার পর অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বের করার কথা বলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই সংসদে নাগরিক সংশোধন বিল পেশ করতে চলেছি, আর ওই বিল পাশ করানোর পর NRC নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। এর সাথে সাথে উনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পাকিস্তান আর বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুরাও যায়গা পাবে। কিন্তু বাকি অনুপ্রবেশকারীদের ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয়বর্গীয় বলেন, আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে NRC কাগু করবে। আর এরপর একটিও হিন্দুকে বাংলা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবেনা। বজয়বর্গীয় তৃণমূল কংগ্রেস এর নাম না নিয়ে আক্রমণ করে বলেন, কিছু দল আর তাঁদের নেতা/নেত্রীরা NRC নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের নেতারা NRC এর নামে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। উনি বলেন, ‘বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব হিসেবে আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, NRC লাগু হবেই, কিন্তু একটাও হিন্দুকে দেশ ছেড়ে যেতে হবেনা। প্রত্যকে হিন্দুকে ভারতের নাগরিকতা দেওয়া হবে।” আপনাদের জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে NRC নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল আর বিজেপি লাগাতার একে অপরের উপর NRC নিয়ে আক্রমণ করেই চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সোমবার NRC কে একটি ভুয়ো অভিযান আখ্যা দিয়ে এটির বিরোধিতা করেন। এবং উনি বিজেপির উপর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপি NRC নিয়ে রাজ্যে ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, আর এর জন্য এখনো পর্যন্ত রাজ্যের ছয় জন মারা গেছে। আরেকদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে NRC লাগু করা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে আগামী ১লা অক্টোবর কলকাতায় পা রাখছেন। আনন্দবাজার

links 18

Pages 1